কলা

কলার থোড়ে মোজাইক রোগ

BBrMV

ভাইরাস

সংক্ষেপে

  • ফুলের সারি ঢেকে রাখা ছোট ছোট পাতাগুলোতে মোজাইকের মত লালচে - বাদামী ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।
  • পাতার বোটা ও মধ্যশিরা বা ফলের কাঁদির গোড়ায় সবুজ বা লাল- বাদামী রঙের মাকু আকৃতির ক্ষত ও দাগ দেখা যায়।
  • কাণ্ডের আভ্যন্তরীণ কোষকলা বিবর্ণ হয়ে যায়।
  • কাঁদি ও ফল বিকৃত হয়ে যায়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

1 বিবিধ ফসল

কলা

উপসর্গ

পুষ্পমঞ্জরীর মঞ্জরীপত্রে মোজাইকের মত লালচে- বাদামী ছোপ ছোপ দাগের আকারে অবশ্যম্ভাবী লক্ষণ দেখা যায়। পুষ্পপুটে ফুলের সারি ঢেকে রাখা ছোট ছোট পাতাগুলোকে মঞ্জরীপত্র বলে। চারাগাছের পাতার গোড়ায় বা মধ্যশিরায় হলুদ বা লাল- বাদামী রঙের মাকু আকৃতির ক্ষত বা দাগ দেখা যায়। মাঝে মাঝে তাদের শিরার সমান্তরালে পত্রফলকে বা ফলের কাঁদির কাণ্ডে দেখা যায়। মৃত পাতা তুলে ফেললে আভ্যন্তরীণ কোষকলায় ঘন বাদামী ক্ষত বা দাগ দেখা যায়। কাঁদির বৃদ্ধি সমস্যা ও বিকৃত ফল এ রোগের লক্ষণ বলে গণ্য করা হয়। এ ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে পারে এবং সংক্রমণ মারাত্মক হলে কলার ফলন ও মান উভয়ই হ্রাস পায়।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

জাব পোকার সংখ্যা হ্রাসে জৈবিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ভার্টিসিলিয়াম লেকানি ছত্রাক ব্যবহার করা যেতে পারে। জাব পোকার সংখ্যা খুব বেশি না হলে তাদের দমনে কীটনাশক সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ভাইরাস ঘটিত রোগের সরাসরি রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। যাহোক, কীটনাশকের ব্যবহার জাবপোকার সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট মাত্রা (উদাহরণস্বরূপ সাইপারমেথ্রিন, এসিটামিড, ক্লোরপাইরিফস) পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আক্রান্ত গাছ বা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কচি ডগা মেরে ফেলতে আগাছানাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

এটা কি কারণে হয়েছে

কলাগাছের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে আক্রমণকারী ভাইরাসের কারণে এসব লক্ষণ প্রকাশিত হয়। জাব পোকার বিভিন্ন প্রজাতির মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে এটি ছড়ায়।. সংক্রমিত গাছের রস শুষে খাওয়ার সময় যেসব ভাইরাস বাহক দেহে প্রবেশ করে তারা খুব কম সময়ের জন্য সেখানে বেঁচে থাকতে পারে। সংক্রমিত গাছের অংশ এক জমি থেকে অন্য জমিতে স্থানান্তর বা পরিবহন এ রোগ বিস্তারের অন্যতম একটি উপায়। ফুলের মঞ্জরীপত্রে মোজাইক বৈশিষ্ট্যের কারণে এর সাধারণ নামকরণ হয়েছে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • রোগমুক্ত, প্রত্যয়িত উৎস থেকে বীজ বা চারা ব্যবহার করুন।
  • রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য ফসল নিয়মিত নিরীক্ষা করুন।
  • ভিন্ন মাঠে আন্তঃপরিচর্যা করার সময় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি পরিষ্কার করুন।
  • সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে গাছ তুলে ধ্বংস করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন