পেঁপে

রিং স্পট ভাইরাস

PRSV

ভাইরাস

5 mins to read

সংক্ষেপে

  • ফলের গায়ে গাঢ় সবুজ রঙের বলয়াকার দাগ হয়।
  • পাতায় হলুদ রঙের মোজাইকের মত নকশা দেখা যায়।
  • গাছের কাণ্ডে এবং ডালপালার উপরে জল-ছোপ দাগ এবং আঁকাবাঁকা দাগ দেখা যায়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

6 বিবিধ ফসল
করলা
শসা
তরমুজ
পেঁপে
আরো বেশি

পেঁপে

উপসর্গ

সংক্রমণের সময় উদ্ভিদের বয়স, উদ্ভিদের সজীবতা এবং জীবাণুর রোগ ছড়ানোর শক্তির উপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো পরিবর্তন হতে পারে। গাঢ় সবুজ বর্ণের ফোস্কার মত কাঠামো প্রথমে পাতাগুলোতে প্রদর্শিত হয়। পরে, সবুজ রঙের বিভিন্ন মাত্রার ছাপযুক্ত নকশা দেখা দেয়। রোগের পরবর্তী পর্যায়ে, পাতা ঝলসানোর মতো হয়ে যায় এবং হলুদ ও বাদামী কোঁকড়ানো দাগ হয়ে মোজাইকের মত নকশা দেখা যায়। পাতার আকার অনেক হ্রাস পায়, যার ফলে পাতার বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং পত্রপল্লব আকারে ছোটো হয়। কাণ্ডে ও পত্রবৃন্তে হলুদাভ দাগ এবং তৈলাক্ত আঁকাবাঁকা দাগ প্রদর্শিত হয়। সংক্রমিত ফলে অগণিত, গাঢ় সবুজ, প্রায় ক্ষেত্রেই দেবে যাওয়া, তৈলাক্ত বৃত্তাকার দাগ দেখায়, ফলের আকার হ্রাস পায় এবং বিকৃত আকৃতির হয়। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে সংক্রমণ হয় তবে ফলগুলি বাজারজাত করণের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে।

Recommendations

জৈব নিয়ন্ত্রণ

জাবপোকার মাধ্যমে জীবাণুর অনুপ্রবেশ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সাদা তেলের ১% ঘনত্বের দ্রবণ গাছে স্প্রে করুন। উপকারী কিছু আণুবীক্ষণিক জীবাণু যেমন কিছু ধরণের ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, অ্যাক্টিনোমাইসেটস এবং ফটোসিন্থেটিক ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহারে রোগের মাত্রা কমতে পারে।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কোন সরাসরি রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ নেই। যাই হোক, ডাই-মেথোয়েট অথবা এজাডিরাকটিন স্প্রে হিসেবে প্রয়োগে জাবপোকার জনসংখ্যার বৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর এক পক্ষকাল অন্তর স্প্রে প্রয়োগ করুন।

এটা কি কারণে হয়েছে

জীবাণুটি অ্যান্টি-পজিটিভ পদ্ধতিতে জাবপোকার অসংখ্য প্রজাতি দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু এটা জাবপোকার মধ্যে সংখ্যাবৃদ্ধি করে না, সেজন্য উদ্ভিদ থেকে সংক্রমণটা খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে (এক মিনিটের বেশী না) ঘটে। ভাইরাসের বিভিন্ন বিকল্প বাহক আছে যেমন তরমুজ এবং অন্যান্য তরমুজ জাতীয় ফল, কিন্তু এদের পছন্দসই লক্ষ্য হল পেঁপে। যদি পাখাওয়ালা জাবপোকা হয় তবে এটির প্রজনন খুব বেশি পরিমাণে হয় এবং সংক্রমণ খুব দ্রুত বিস্তার করতে পারে। শীতল আবহাওয়ার কারণে পাতার উপর লক্ষণ (মোজাইক নকশা এবং পাতার আকৃতি বিকৃত হয়ে যাওয়া) আরো বেশি খারাপ হতে পারে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • সুস্থ গাছ বা প্রত্যয়িত উৎস থেকে প্রাপ্ত বীজ ব্যবহার করুন।
  • রোগ প্রতিরোধী জাতের চারা কিনা তা পরীক্ষা করুন।
  • যেসব এলাকা রোগমুক্ত সেসব এলাকায় চারা রোপণ করুন।
  • বাগানের চারপাশে রোগের বাহক নয় এমন গাছপালা যেমন ভুট্টা অথবা জবা গাছের চারা লাগান।
  • একই এলাকায় লাউ জাতীয় উদ্ভিদের চাষ এড়িয়ে চলুন।
  • জাবপোকার জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি এড়ানোর জন্য চারা রোপণের সময় সামঞ্জস্য রাখুন।
  • ভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ-অবশিষ্টাংশ সরিয়ে দিন।
  • ক্ষেতের মধ্যে এবং চারপাশে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • পোকামাকড় থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এড়ানোর জন্য জাল ব্যবহার করুন।
  • লক্ষণ যাতে খারাপ হয়ে মারাত্মক পর্যায়ে না পৌঁছায় সেজন্য সঠিক সার ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন