লাল ছোলা ও অড়হর

মুগবিনের হলুদ মোজাইক ভাইরাস

MYMV

ভাইরাস

সংক্ষেপে

  • পাতায় অনিয়মিত হলুদ-সবুজ ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়, এবং পাতা হয় কুঞ্চিত আকারের।
  • ক্ষত বড় ও একত্রিত হয়ে মৃত কোষকলাযুক্ত গাঢ় বাদামী রং ধারণ করে।
  • আক্রান্ত গাছে খুব অল্পসংখ্যক ও খর্বাকৃতির রোগাক্রান্ত শুঁটি বের হয়, যা মাঝে মাঝে ওপরের দিকে কুঁচকে থাকে।
  • বৃদ্ধি স্তব্ধ হয়।
  • বীজের সংখ্যা ও মান হ্রাস পায়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে


লাল ছোলা ও অড়হর

উপসর্গ

নতুন পাতার কোষকলা সবুজ রঙ হারিয়ে ফেলে, নিচের দিকে কুঁকড়ে যায় অথবা কাগজের ন্যায় সাদা হয়ে যায়। বয়স্ক পাতায় বিক্ষিপ্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হলুদ দাগ দেখা যায়, যা পরে পরিবর্তিত হয়ে অনিয়মিত আকারের সবুজ এবং হলুদ দাগের মোজাইক তৈরি করে। সবুজ অংশ কিছুটা উঁচু মনে হয়, যা পাতাকে কুঞ্চিত আকার দান করে। ক্ষত ক্রমান্বয়ে বড় হয় এবং একত্রিত হয়ে মৃত কোষ কলায় পরিণত হয়। আক্রান্ত গাছের বৃদ্ধি থেমে যায়। গাছ স্বল্পসংখ্যক ফুল ও শুঁটি ধারণ করে। শুঁটিগুলো ক্ষুদ্র, পাতলা এবং ছোপ ছোপ দাগযুক্ত হয় এবং মাঝে মাঝে উপরের দিকে কুঁচকে যায়। ফলে শুঁটিতে অল্প সংখ্যক অপেক্ষাকৃত ছোট বীজ থাকে।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

ভাইরাস রোগ দমনে কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা ব্যবহৃত হয় না। তবে বিভিন্ন গাছের নির্যাস যেমন নিমের তেল সাদা মাছির সংখ্যা হ্রাসের ক্ষেত্রে কার্যকরী, যা আক্রান্ত ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। সাইপারমেথ্রিন, ডেল্টামেথ্রিন, অথবা ডাইমেথোয়েট পাতায় ছিটিয়ে দিলে সাদা মাছির প্রাদুর্ভাব হ্রাস পায়। বাহক দমনের ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি জমির চারদিকের সীমানা বরাবর প্রতিরোধমূলক সুরক্ষা হিসাবে জোয়ার, ভুট্টা অথবা বাজরা রোপণ করতে হবে।

এটা কি কারণে হয়েছে

এ ভাইরাস সাদামাছি বেমিসিয়া টাবাসি দ্বারা ছড়ায়। বীজের মাধ্যমে ছড়ানো সম্ভব নয়। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের কয়েকটি দেশে এ রোগ দেখা যায়। পাতায় হলুদ দাগ তুলনামূলকভাবে গাছের উৎপাদনশীলতা কমায়। উচ্চ আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা বাহকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ রোগ আক্রমণের ফলে মুগবিনের ফলনের ১০০% লোকসান হতে পারে। কলাইয়ের হলুদ মোজাইক ভাইরাস মটরশুঁটির চেয়ে মাসকলাই-তে বেশি আক্রমণ করে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • সম্ভবমতো প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করুন।
  • জমির চারদিকের সীমানা বরাবর প্রতিরোধমূলক সুরক্ষা হিসাবে জোয়ার, ভুট্টা অথবা মুক্তা বাজরা রোপণ করুন।
  • নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করে লক্ষণসমূহ সনাক্ত করুন এবং আক্রান্ত গাছ সরিয়ে নিন।
  • ব্যাপকভাবে মাছিপোকা ধরতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে হলুদ আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন