আলু

আলুর ওয়াই ভাইরাস রোগ

PVY

ভাইরাস

সংক্ষেপে

  • পাতায় হলুদ থেকে গাঢ় সবুজ রঙের ছোপ ছোপ দাগের উৎপত্তি হয় - যা পাতার শীর্ষভাগ থেকে শুরু হয়।
  • পাতাসহ শিরা এবং কাণ্ডে কালো পচা দাগ ও রেখা দেখা যায়।
  • গাছের বৃদ্ধি হ্রাস পায়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

2 বিবিধ ফসল
আলু
তামাক

আলু

উপসর্গ

সংক্রমণের লক্ষণসমূহ আলুর প্রজাতি, গাছের বয়স আর পরিবেশের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন হয়। পত্রফলকের উপরে হলুদ অথবা গাঢ় সবুজ রঙের বিচিত্র ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় এবং পাতার শীর্ষভাগ থেকে শুরু করে পাতার আকার বিকৃত হয়ে যায়। শিরা অথবা কাণ্ডে মরা কোষকলা সমন্বিত বাদামী বা কালো বর্ণের রেখা এবং গোলাকার চিহ্ন দেখা যায়। কুঁড়ি এবং ফুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। আক্রান্ত গাছের কন্দ আকারে ছোট হয় এবং তার গায়ে ছোট গোলাকার মরা দাগ দেখা যায়। গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং আলুর ফলন অনেক কমে যায়।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

প্রতি সপ্তাহে খনিজ তেলের ব্যবহার ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। এ তেল জাবপোকার ভাইরাস গ্রহনের হার কমিয়ে দেয় এবং তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনে, ফলে গাছে সংক্রমণ কম হয়।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। সাধারণত ভাইরাসজনিত রোগের কোনো রাসায়নিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। তবে, কীটনাশক ব্যবহার করে জাবপোকার সংখ্যা কমানো যেতে পারে।

এটা কি কারণে হয়েছে

ভাইরাস অতি সংক্রমণশীল । এ ভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সোলানেসি (solanaceae) পরিবারের ফসল যেমন- টমেটো, আলু অথবা মরিচে সংক্রমণ ঘটায়। দূষিত যন্ত্রপাতি, গাছ অথবা বিভিন্ন ধরনের পাখনাযুক্ত জাবপোকার মাধ্যমে এ রোগ আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • শুধুমাত্র প্রত্যয়িত বীজ বপন করুন।
  • সহনশীল ও রোগ প্রতিরোধী জাতের আলু রোপণ করুন।
  • নিয়মিত ক্ষেতের তদারকি করুন এবং আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলুন অথবা নষ্ট করে ফেলুন।
  • সহজে সংক্রমিত হতে পারে এরকম শস্যের আশেপাশে আলু চাষ করবেন না।
  • ক্ষেত এবং তার আশেপাশের জমি থেকে আগাছা এবং বিগত মৌসুমের অপ্রয়োজনীয় আলুগাছ সরিয়ে ফেলুন।
  • উদ্ভিদকে যেকোন আঘাত থেকে রক্ষা করুন।
  • ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করুন।
  • শীতযাপন করতে পারে এমন ছত্রাকের উৎসসমূহ যেমন- আলুর কাল পাইল (cull piles) ধ্বংস করে ফেলুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন