CGMMV
ভাইরাস
রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে, কচি পাতার উপরে হালকা হলুদ সবুজ দাগ দেখা যায় এবং শিরা নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে পাতা হলুদ হয়ে ভঙ্গুর হয় এবং কুঁচকে গিয়ে বিকৃত হয়ে পড়ে। ফসলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও বৃদ্ধির পরবর্তী পর্যায়ে উদ্ভিদের মরা ভাব লক্ষ্য করা যায়। পরিণত পাতা বিবর্ণ বা হলুদাভ-সাদা হয় এবং অকালে ঝরে পড়ে। ফল সম্পূর্ণরূপে লক্ষণবিহীন (অন্ততঃপক্ষে বাইরে থেকে লক্ষ্য করলে) থেকে এর উপরে বিশ্রি দাগ পড়া বা ফেটে যাওয়া, ফল বিকৃত হওয়া বা ঝরে পড়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। পরবর্তী পর্যায়ে বর্ণিত লক্ষণগুলি তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত। কোন কোন ক্ষেত্রে, ফলে কোন বাহ্যিক লক্ষণ দেখা যায় না কিন্তু ফলের অভ্যন্তরভাগ বিবর্ণ হয়ে যায় বা পচে যায়। অকালে ফল গাছ থেকে ঝরে পড়ে যাওয়াটা খুব সাধারণ একটা ঘটনা।
যদি আপনি ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস শুষ্ক তাপে বীজ তিন দিন ধরে শোধন করেন, তবে বীজ সক্রিয় ভাইরাস কণা থেকে মুক্ত হবে, তবে তখনও অঙ্কুরিত হতে পারে। সম্ভব হলে সিজিএমএমভি পরীক্ষার কিট প্রয়োগ করুন। চিবিয়ে খায় এমন পোকাকে লক্ষ্য করে জৈব বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। চিবিয়ে খায় এমন পোকাকে লক্ষ্য করে রাসায়নিক বালাইনাশক প্রয়োগের ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে না। শশার সবুজ দাগ ভাইরাস রোগের মতো ভাইরাস রোগের সরাসরি দমন সম্ভব নয়।
শশার সবুজ দাগ ভাইরাস (সিজিএমএমভি) দ্বারা রোগের লক্ষণ সৃষ্টি হয়, যা কুমড়া, শশা তরমুজ এবং ক্যান্টালুপে আক্রমণ করে। ভাইরাস মাটিতে মৃত উদ্ভিদ উপাদানে দীর্ঘ সময়ের জন্য সক্রিয় থাকতে পারে। এর সংক্রমণ আক্রান্ত বীজ, যান্ত্রিকভাবে আঘাত প্রাপ্ত স্থান, খামার সরঞ্জাম, এবং চিবিয়ে খায় এমন পোকা যেমন বিটল্- এর সাহায্যে হতে পারে। গ্রাফটিং বা ফসলের ক্ষতি করতে পারে এমন অন্যান্য কাজের মাধ্যমেও এটি অন্য চারায় বাহিত হতে পারে। চুষে খাওয়া পোকা (উদাঃ জাব পোকা, মাকড়, সাদা মাছি) এ ভাইরাস বহন করে না। একবার ফসল আক্রান্ত হলে এর কোন প্রতিকার নেই। বিশেষতঃ গ্রীনহাউসগুলিতে, এ ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।