BCMV
ভাইরাস
প্রাথমিকভাবে, ৩-উপপত্র বিশিষ্ট পাতা কিছুটা হালকা রঙের হয়ে যায়। ধীরে ধীরে, পাতার কিনারায় হালকা এবং গাঢ় সবুজ মোজাইক প্যাটার্ন দৃশ্যমান হয় ( অনেকটা সবুজের উপর সবুজ মোজাইক)। পাতার শিরা বা এর বিভিন্ন অংশে হলুদাভ চিহ্ন দেখা যায় (একে হলুদ হয়ে যাওয়া বলা হয়)। রোগ বিস্তারের সাথে সাথে পাতার কিছু অংশ কুঞ্চিত, ফুস্কুড়িযুক্ত বা বিকৃত হতে পারে। পরবর্তী অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে পাতা কুঞ্চিত বা মুচড়িয়ে যাওয়া অন্যতম। যেসব গাছ প্রাথমিক বৃদ্ধির পর্যায়ে সংক্রামিত হয়, সেগুলো মারাত্মকভাবে খর্বাকৃতির এবং অনুৎপাদনশীল হতে পারে, ফলে স্বল্প বীজ উৎপাদন এবং ফলের সংখ্যাও কম হতে পারে। কিছু সংবেদনশীল জাতে ভাইরাস আক্রান্ত শিকড় কালো বর্ণের হতে পারে, তাছাড়া এ ধরনের লক্ষণ কেবলমাত্র ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরের তাপমাত্রায় দেখা যায়।
সরাসরি ভাইরাসের প্রতিরোধ করা সম্ভবপর নয়। খনিজ তেলের মিশ্রণ জাব পোকা দ্বারা ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস করতে পারে, তবে এ তেলের উচ্চ ঘনত্বের মিশ্রণ গাছের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে রাসায়নিক দমন ব্যবস্থা সফল নয়। রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জাবপোকার ভেক্টর দমন সাধারনত অকার্যকরী হয়ে থাকে।
এ রোগের প্রাথমিক উৎস হচ্ছে সংক্রামিত বীজ। দ্বিতীয় ধাপের আক্রমণ সংক্রামিত পুষ্পরেণু, বাহক পোকার মাধ্যমে গাছ থেকে গাছে (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জাবপোকা) বা জমিতে কাজের সময় গাছে যান্ত্রিক আঘাতের ফলে সংক্রমণ ঘটে থাকে। শিমের জাতের উপর, পরিবেশগত অবস্থা (তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা) এবং সংক্রমণের সময়ের উপর ভিত্তি করে উপসর্গ এবং ফলনের ক্ষয়ক্ষতি প্রভাবিত হয়। রানার শিম ভাইরাসের প্রতিরোধী হয়, অন্যদিকে মেরু শিম এবং বুশ শিম বেশি আক্রান্ত হয়। ভাইরাস বহনকারী বীজ (বীজবাহিত সংক্রমণ) থেকে অঙ্কুরিত সংবেদনশীল গাছে ১০০% পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীতে জাব পোকা দ্বারা সংক্রমণ সাধারণত কম তীব্র হয়। ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে তাপমাত্রায় লক্ষণগুলো আরও তীব্র হয়।