Cylindrocarpon
ছত্রাক
অল্পবয়স্ক লতা প্রভাবিত হয় এবং খর্বাকৃতি পর্বমধ্য, পাতার হ্রাসপ্রাপ্ত আকার এবং পাতার হ্রাসের লক্ষণ দেখায়। ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী দ্রাক্ষালতার পাতা হলুদ হয়ে যাবে, শুকিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত অকালে ঝরে যাবে। শিকড় হ্রাস পায় এবং দাবানো দেখা যায়, উপরে গাঢ় ক্ষত দেখা যায় যার ফলে সম্পূর্ণ গাছ শুকিয়ে যায় এবং পরে মারাও যেতে পারে। মূল টিস্যুর বেগুনি বিবর্ণতা দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। আক্রান্ত লতা ছোট আকারের কাণ্ড, খর্বাকৃতি পর্বমধ্য, অসমভাবে কাষ্ঠল অংশের পরিপক্কতা সহ কম সতেজতা দেখায়। আক্রান্ত লতার তরুমজ্জা আরো ঘন এবং বিবর্ণ দেখাবে। অল্পবয়স্ক দ্রাক্ষালতা আরও দ্রুত প্রভাবিত হয় তবে বয়স্ক লতা আরও ধীরে ধীরে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখায়। যখন অল্পবয়স্ক লতা আক্রান্ত হয়, তখন এরা খুব দ্রুত মারা যায়, কিন্তু দ্রাক্ষালতার বয়স বাড়ার সাথে সাথে সংক্রমণও ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং মৃত্যু হতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে ছাঁটাইয়ের ক্ষত, প্রসারণ উপাদান এবং কলমের মিলন স্থলে ট্রাইকোডার্মা প্রজাতি প্রয়োগ করুন। ট্রাইকোডার্মার সাথে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম জল দিয়ে সুপ্ত নার্সারির দ্রাক্ষালতা শোধন করুন। যখন গাছ চাপের পরিস্থিতিতে থাকে ট্রাইকোডার্মা প্রজাতি, মাইকোরিজি দিয়ে মাটির সংশোধন কার্যকর হয় এবং গাছ যখন বিভিন্ন চাপের পরিস্থিতিতে থাকে তখন কম্পোস্ট প্রয়োগ করলে গাছের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। আজ অবধি, এ ছত্রাকের বিরুদ্ধে কোনও রাসায়নিক পদ্ধতি তৈরি করা হয়নি।
আঙুর লতার গোড়ায় কালো পচনের লক্ষণ সিলিন্ড্রোকাপনের বেশ কয়েকটি মাটিবাহিত ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয়। প্রধানতঃ ২ থেকে ৮ বছর বয়সী দ্রাক্ষালতা ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়। ছত্রাক ক্ষত বা শিকড়ের প্রাকৃতিক খোলা মুখের মাধ্যমে লতার মধ্যে প্রবেশ করে। জলের নীচে বা স্বল্প পুষ্টি পায় এমন আঙুর লতা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। স্বল্পবয়সী গাছে অতি মাত্রায় ফসলের ভার, দুর্বল নিষ্কাশন এবং মাটির সংকোচনও রোগের বিকাশের অনুকূল।