Phakopsora euvitis
ছত্রাক
শুরুতে পাতার নিচের দিকে কমলা-বাদামী গুঁড়া পাওয়া যায়। পাতার উভয় পাশে ছোট হলুদ থেকে বাদামী ক্ষত দেখা যায়। রোগের বিকাশের সাথে সাথে কমলা অংশ গাঢ়-বাদামী থেকে প্রায় কালো হয়ে যায় এবং দীর্ঘ ক্ষত তৈরি করে। মারাত্মক সংক্রমণের কারণে পুরো গাছ হলুদ বা বাদামী দেখাবে এবং অবশেষে অকালে পত্রমচন ঘটাবে। পরবর্তী ক্রমবর্ধমান ঋতুতে অঙ্কুরের বৃদ্ধি কম হবে যার ফলে লতার বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাবে। এ রোগের কারণে অঙ্কু্রের দুর্বল বৃদ্ধি, ফলের গুণমান হ্রাস এবং ফলন হ্রাস হতে পারে।
সালফারযুক্ত ছত্রাকনাশক পাতার উপরে স্প্রে হিসাবে প্রয়োগ করুন। ছত্রাকনাশক যাতে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে বৃষ্টির সময় স্প্রে করা এড়িয়ে চলুন।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। বোর্দো মিশ্রণ, ক্যাপ্টাফোল, ডিফোলাটান, প্রোপিকোনাজল, টেবুকোনাজল বা অ্যাজোক্সিস্ট্রোবিন যুক্ত ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন, যা প্যাথোজেনের প্রকোপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। পরবর্তী ক্রমবর্ধমান ঋতুতে পাক্ষিক ব্যবধানে বেকর-এর (0.১%) ৩-৪টি স্প্রে প্রয়োগ করে দ্রাক্ষাক্ষেত্রে মরিচা রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
ফাকোপসোরা ভাইটিস নামক ছত্রাকের কারণে উপসর্গ দেখা দেয়। ছত্রাকের বীজ উদ্ভিদের ধ্বংসাবশেষ এবং বিকল্প আবাসের উপরে বেঁচে থাকে এবং বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মরিচা রোগের জীবাণু কমলা রঙের দানার আকারে পাতার নীচের পৃষ্ঠে উপস্থিত দাগের মধ্যে বিকশিত হয়। ইউরেডিনোস্পোরের হলুদাভ কমলা অংশ পাতার নিচের দিকে উৎপন্ন হয়, উপরের পৃষ্ঠে গাঢ় নেক্রোটিক দাগ থাকে। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা এবং আর্দ্র আবহাওয়া রোগের বিকাশের অনুকূল। বীজগুটি সহজেই বায়ু এবং বায়ুর স্রোত দ্বারা পরিবাহিত হতে পারে।