Puccinia kuehnii
ছত্রাক
পাতায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত দাগ শুরু হয়। এগুলি পরে কমলা-বাদামী ক্ষতে বিকশিত হয় যা ৪ মিমি দীর্ঘ এবং ৩ মিমি প্রশস্ত হয়। ক্ষত সাধারণত পাতার গোড়ায় সন্নিবেশিত হয় এবং দলবদ্ধ হতে থাকে। পাতার নীচের দিকে কমলা রঙের রেনুগুটিকা উৎপাদিত হয়। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত পাতার টিস্যু মারা যায়, যার ফলে ফসলের পত্রপল্লব কমে যায়। গুরুতর ক্ষেত্রে, দাগ পাতার খোলেও দেখা যায়, ফলে পুরো পাতা দূর থেকে বাদামী দেখায়।
আজ অবধি, আমরা এ রোগের বিরুদ্ধে কোনও জৈবিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নই। যদি আপনি লক্ষণগুলির গুরুতর অবস্থা হ্রাস করার কোনও সফল পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন তবে অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ছত্রাকনাশক ফলনের ক্ষতি হ্রাস করতে পারে। স্ট্রোবিলিউরিন শ্রেণীর ছত্রাকনাশক যেমন পাইরাক্লোস্ট্রোবিন এবং অ্যাজোক্সিস্ট্রোবিন স্প্রে করে এই রোগ দমনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, মেটকোনাজোল এবং প্রোপিকোনাজোলের মতো ট্রায়াজল শ্রেণির ছত্রাকনাশক ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
পাকসিনিয়া কুয়েন্নি ছত্রাকের দ্বারা এ রোগ হয়। এটি মরিচা দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে যা আণুবীক্ষণিক, হালকা এবং শক্ত হয়ে থাকে এমন স্পোর তৈরি করে যা বায়ু এবং জলের ঝাপটা দ্বারা দ্রুত স্বল্প এবং দীর্ঘ-দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ে। স্পোর মাটিতে উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশেও বেঁচে থাকে। এ রোগ সাধারণত গ্রীষ্মে এবং শরতের প্রথম দিকে উষ্ণ, ভেজা এবং অত্যন্ত আর্দ্র পরিবেশে দেখা যায়। এটি অধিক পরিপক্ক আখকে সংক্রামিত করে (সাধারণত ৬ মাসের বেশি বয়স)। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি এবং আর্দ্রতা ৭০ এবং ৯০%-র মধ্যে থাকলে রোগের বৃদ্ধি ও বিস্তার সীমিত থাকে। বাতাসের উচ্চ গতিবেগ এবং অবিরাম মেঘলা আবহাওয়া এ রোগটিকে আরও ত্বরান্বিত করে।