Pseudocercospora abelmoschi
ছত্রাক
প্রাথমিকভাবে, পাতার নীচের দিকে নির্বিচারে জলপাই রঙের দাগ লক্ষ্য করা যায়। বিশেষত পুরাতন পাতা, যা মাটির কাছাকাছি অবস্থিত সেগুলো এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। হালকা বাদামী থেকে ধূসর ছাঁচযুক্ত ছত্রাকের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত পাতার ফলকে বিকাশ লাভ করতে পারে। রোগ বাড়ার সাথে সাথে দাগ মৃত কোষ কলায় ভরে যায় এবং পাতার উপরের পৃষ্ঠেও লক্ষণ প্রদর্শিত হতে পারে। সংক্রামিত পাতা অবশেষে শুষ্ক হয়ে যায় এবং শুকিয়ে যায়। কাণ্ড এবং ফল একই জাতীয় লক্ষণ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। মারাত্মক আক্রমণ হলে উদ্ভিদ সম্পূর্ণরূপে পুষ্পহীন হতে পারে। সি. ম্যালেয়িন্সিসের সঙ্গে লক্ষণ বিভ্রান্তি ঘটাতেপারে।
আজ অবধি, আমরা এ রোগের বিরুদ্ধে কোনও জৈবিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি উপলব্ধ কিনা সে সম্পর্কে অবগত নই। যদি আপনি এ লক্ষণ বা গুরুত্ত্ব হ্রাস করার কোনও সফল পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন, তবে অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। বিকেলে পাতার নীচের দিকে ছত্রাকনাশক স্প্রে করুন। বীজ বপনের এক মাস পরে কপার অক্সিক্লোরাইড @ ০.৩%, ম্যানকোজেব @ ০.২৫% বা জিনেব @ ০.২% সুরক্ষামূলক ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে এক পক্ষকাল অন্তর অন্তর এ পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করুন। ১৫ দিনের ব্যবধানে ০.১% @ কার্বেনডাজিম ৫০% ডিএফ রোগ নিয়ন্ত্রণে ভাল ফলাফল দেয়।
ঢেঁড়সের পাতার দাগ রোগ সিউডোসারকোস্পোরা অ্যাবেলমোশি ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয়। এ ছত্রাক মাটিতে সংক্রামিত উদ্ভিদের ধ্বংসাবশেষে বেঁচে থাকে এবং মাটিতে পড়ে থাকা ফসলের অবশিষ্টাংশের উপর শীতকালে বেঁচে থাকা ছত্রাক ঢেঁড়স গাছের শিকড় এবং নীচের পাতাকে সংক্রামিত করে। বীজগুটি বায়ু, বৃষ্টি, সেচ এবং যান্ত্রিক সরঞ্জামের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর্দ্র মৌসুমে (ফুল ধরার পর্যায়ে) পাতার দাগ খুব বেশি দেখা যায়, কারণ এ ছত্রাক উষ্ণ এবং ভেজা আবহাওয়াতে জন্ম নেয়।