Mycosphaerella coffeicola
ছত্রাক
5 mins to read
হালকা বাদামী/ধূসর কেন্দ্র বিশিষ্ট বৃত্তাকার বাদামী দাগ, চারপাশে বিস্তৃত বাদামী গাঢ় রিং এবং হলুদ বলয়, পাতায় প্রায় ১৫ মিমি চওড়া দেখা যায়। দাগ বেশিরভাগই পাতার শিরা এবং প্রান্তভাগের মধ্যে আবির্ভূত হয়। কখনও কখনও দাগ বড় বড় দাগে পরিণত হয় এবং পাতা ঝলসানো রোগ হয়। এ রোগ সাধারণত ৬০০ মিটার উচ্চতার শীতল, আর্দ্র এলাকায় ঘটে। কিন্তু ফলে যে সংক্রমণ দেখা যায় তা সাধারণত স্বল্প , আনুমানিক ৫ মিমি প্রশস্ত, তবে কখনও কখনও পুরো ফল জুড়ে থাকে। সাধারণত, এ রোগ পাতার চেয়ে ফলের উপর আকারে আরও বড়, অনিয়মিত এবং প্রধানত সূর্যের আলোর দিকে থাকা অংশে বেশি হয়। গুরুতর সংক্রমণ হলে, অকাল পত্রমোচন এবং কাণ্ডের আগা মরা রোগ হতে পারে।
আজ অবধি, এ রোগের বিরুদ্ধে কোনও জৈবিক নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হচ্ছে না। আপনার যদি যে কোন পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু জানা থাকে তবে অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজন হলে কপার বা ট্রায়াজোলের মতো পণ্য ব্যবহার করুন। ফুল আসার শুরুতে তিন মাস ধরে কপার ঘটিত ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করুন। দ্রষ্টব্য, কপার ঘটিত ছত্রাকনাশক উপকারী পোকামাকড়কে মেরে ফেলতে পারে।
দাগ মাইকসফেরেইলা কফফেকোলা ছত্রাকের কারণে ঘটে। এটি বিশেষত ফুলের পর্যায়ে উচ্চ আর্দ্রতা, উচ্চ বৃষ্টিপাত, উষ্ণ তাপমাত্রা এবং খরার সময় হয়। পাতার ধ্বংসাবশেষে জীবাণু বেঁচে থাকে। বীজগুটি বায়ু এবং বৃষ্টির ঝাপ্টার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং জমিতে মানুষের চলাফেরার মাধ্যমে বিশেষত গাছ ভেজা থাকলে এবং অঙ্কুরিত করার জন্য যদি পানির প্রয়োজন হয় তবেও তা ছড়ায়। স্বল্প বয়স্ক এবং অনাবৃত গাছ সবচেয়ে বেশী আক্রমণের শিকার হয়।