Phyllachora maydis
ছত্রাক
প্রথম লক্ষণগুলি ছোট, উত্থিত হলুদ-বাদামী দাগ দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং পাতার উভয় পাশে একটি কালো কেন্দ্র থাকে। দাগগুলি বৃত্তাকার, বাদামী ক্ষত দ্বারা বেষ্টিত হতে পারে এবং গাঢ় প্রান্তগুলিকে সাধারণত "ফিশ-আই" বলা হয়। বৃত্তাকার, ডিম্বাকৃতি, কখনও কখনও কৌণিক বা অনিয়মিত দাগ একত্রিত হতে পারে এবং ১০ মিমি. পর্যন্ত লম্বা ফিতে তৈরি করতে পারে। পুরো পাতা দাগ দিয়ে ঢেকে যেতে পারে এবং পাতার চারপাশের উপাদান শুকিয়ে যায়। উপসর্গগুলি প্রথমে নীচের পাতায় দেখা যায়, পরে তা উপরের পাতায় ছড়িয়ে পড়ে। মারাত্মক উপদ্রবের ফল হিসাবে ভুসি এবং পাতার খাপেও দাগ দেখা যায়। ২১ থেকে ৩০ দিন পর পাতা সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে যেতে পারে। এর ফলে বিপণনযোগ্যতা হ্রাস পাবে।
এ রোগের বিরুদ্ধে কোন জৈবিক নিয়ন্ত্রণ সমাধান পাওয়া যায় বলে মনে হয় না। আপনি যদি এ ব্যাপারে কোন কিছু জানেন, অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। আজ পর্যন্ত, এ রোগের জন্য কোনও রাসায়নিক দমন ব্যবস্থার কথা জানা যায়নি। আপনি যদি এ ব্যাপারে কিছু জানেন, অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
উপসর্গ তিনটি ছত্রাকের প্রজাতির মিথস্ক্রিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়: Phyllachora maydis, Monographella maydis এবং hyperparasite Coniothyrium phyllachorae. P. maydis দ্বারা সংক্রমণের দুই বা তিন দিন পরে ক্ষতগুলিকে M. maydis আক্রমণ করে, ছত্রাকটি উদ্ভিদের ধ্বংসাবশেষে ৩ মাস বা তার বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে। স্পোর বাতাস এবং বৃষ্টির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৬-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের শীতল তাপমাত্রা এবং উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণ হিসাবে কাজ করে। তাই নদী তীরবর্তী ক্ষেতগুলিতে রোগের প্রবণতা রয়েছে।