ক্যাপসিকাম ও মরিচ

মরিচে পাউডারি মাইল্ডিউ ছত্রাক রোগ

Leveillula taurica

ছত্রাক

সংক্ষেপে

  • পাতার উপর ময়দার মতো আস্তরণ পড়ে যা অপসারন করা যায়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে


ক্যাপসিকাম ও মরিচ

উপসর্গ

লেভিলুলা জীবাণু দ্বারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাতা বেশি আক্রান্ত হয় এবং ডগা ও ফল কখন কখন আক্রান্ত হয়। প্রথমে পাতার নিচের তলে সাদা দাগ প্রতীয়মান হয় এবং পাতার নিচে হলুদ বর্ণের দাগ পরিলক্ষিত হয়। রোগের শেষদিকে, সাদা-ধুসর, ময়দার মতো পদার্থ পাতার উপর দেখা যায়। রোগ বৃদ্ধির সাথে সাথে আক্রান্ত অংশ জীর্ণ হয়, পত্রমোচন ঘটে এবং গাছে মারা যায়।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

বাগানের জন্য দুধমিশ্রিত জলের দ্রবন ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে। প্রতি দুই দিন অন্তর এ দ্রবন প্রয়োগ করুন। আবাস অনুযায়ী পাউডার মাইল্ডিউ আলাদা আলাদা হয় , এবং এ দ্রবন সকল প্রকারের জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। যদি কোন প্রকার কার্যকারিতা না দেখা যায়, রসুন অথবা সোডিয়াম বাই কার্বনেট দ্রবন ব্যবহার করুন। বাণিজ্যিকভাবে তৈরি জৈব নিয়ন্ত্রকও পাওয়া যায় ।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে কিছু সংখ্যক ফসল , পাউডারি মাইল্ডিউ বা ছত্রাক রোগে আক্রমণ উপযোগী হয় । নির্দিষ্ট রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সুপারিশ করা কঠিন। জলে দ্রবণীয় সালফার ভিত্তিক ছত্রাকনাশক, কার্বেনডাজিম, ট্রাইফ্লুমাইজল, মাইক্লোবিউটানিল , অথবা ডিনোকাপ কিছু কিছু ফসলে এ ছত্রাকের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনে ব্যবহার করে ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে।

এটা কি কারণে হয়েছে

শীতকালে স্পোরগুলো পত্রকুঁড়ি এবং উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশের ভিতর বেঁচে থাকে। বাতাস, জল , এবং পোকামাকড়ের মাধ্যমে স্পোর নিকটবর্তী গাছে স্থানান্তরিত হয়। এমনকি এটা ছত্রাক হওয়া সত্ত্বেও, পাউডারি মাইল্ডিউ স্বাভাবিকভাবে শুকনো অবস্থায় বাড়তে পারে। এরা ১০-১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হল আদর্শ। ডাউনি মাইল্ডিউ-এর বিপরীতক্রমে, স্বল্প বৃষ্টিপাত এবং স্বাভাবিক ভোরের শিশির পাউডারি মাইল্ডিউ-এর বিস্তারের হার দ্রুত করে ।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • রোগ প্রতিরোধী অথবা সহনশীল জাত ব্যবহার করুন।
  • অবাধে আলো বাতাস যাওয়া আসার জন্য গাছ থেকে গাছের মাঝে পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন।
  • প্রথম উপসর্গ দেখা মাত্রই আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলুন।
  • আক্রান্ত গাছের সংস্পর্শে আসার পর রোগমুক্ত গাছে স্পর্শ করবেন না।
  • মাটির উপরে খড় পাতার মোটা আস্তরন মাটি থেকে পাতায় জীবাণুর বিস্তার রোধ করতে পারে।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে ফসলের শস্য আবর্তন কাজে দেয়।
  • সুষম পুষ্টি সমৃদ্ধ সার প্রয়োগ করুন।
  • অতিরিক্ত তাপমাত্রা পরিবর্তন এড়িয়ে যান।
  • ফসল তোলার পর চাষ দিন অথবা উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ অপসারণ করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন