Stemphylium solani
ছত্রাক
তুলার পাতায় ধূসর দাগ প্রায় ২ সেন্টিমিটার ব্যাসের হতে পারে, আকৃতি গোলাকার এবং বেগুনি বর্ণের কিনারা দেখা যায় । পরিপক্ক হলে, একটি সমকেন্দ্রিক আকৃতি ধারন করে এবং একটি সাদা রঙের বৃত্তাকার কুয়াশার মতো বিকাশ হয়, যা পরবর্তীতে গুলির ছিদ্রের মতো আকার ধারন করে। ঘূর্ণিপাক সাধারণত পাতার উপরের দিকে থাকে এবং পাতার কিনারা বরাবর প্রথমে শুরু হয় এবং পরে পাতার অভ্যন্তরভাগে সরে যায়। ফুল ফোটার পর্যায়ে উদ্ভিদের উপরের পাতা সংক্রমণের জন্য সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ সে সময়ে পুষ্টির জন্য চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। সময়মতো যদি এ রোগে পটাশিয়ামের প্রয়োগ করা হয়, তবে এ রোগ হয় না। কিন্তু যদি এটি নিরাময় না হয়, তবে এর ফলে অকাল পত্রমোচন হয় এবং ফলন হ্রাস হয়।
এখনও পর্যন্ত, কোনও জৈবিক নিয়ন্ত্রণ সমাধান এ রোগের জন্য পরিচিতি লাভ করেনি । এটি এড়াতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করুন।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ছত্রাকনাশক যেমন (পাইরাক্লস্টোব্লিন, পাইরাক্লস্টোব্লিন + মেটকোনাজেল) ব্যবহার করার জন্য সহজলভ্য কিন্তু সাধারণভাবে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপারিশ করা হয় না, যেহেতু তারা অর্থনৈতিকভাবে উপযুক্ত নয়।
লক্ষণগুলো স্টেমফাইলিয়াম সোলনি নামক ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয়। এ রোগ এবং রোগ উচ্চ আর্দ্রতা, ঘন ঘন বৃষ্টি এবং এছাড়াও দীর্ঘ খরা দ্বারা প্রভাবিত হয়। শারীরবৃত্তীয় বা পুষ্টির অভাবও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন, বিশেষত ফুল বা ফল গঠনের সময়। পটাসিয়ামের অভাব মূল কারণ কিন্তু এর সাথে খরা, পোকা দ্বারা সৃষ্ট চাপ বা মাটিতে নেমাটোডের উপস্থিতি মিলিত ভাবে একটা বড় কারণ হতে পারে। বায়ুর মাধ্যমে এ ছত্রাকের জীবাণু অন্যান্য গাছপালাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে । প্রায় ২০-৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এ রোগের জন্য উপযুক্ত। এ ছত্রাক অল্টারনেরিয়া এবং সারকোস্পরা প্রজাতির সঙ্গে একটি জটিল আবাস গঠন করতে পারে এবং একই জমির মধ্যে দেখা যেতে পারে। বিকল্প বাহক হচ্ছে তুলা, টমেটো, আলু, মরিচ, বেগুন ও পেঁয়াজ।