Pleospora herbarum
ছত্রাক
স্টেমফাইলিয়াম ব্লাইট রোগের কারণে প্রাথমিকভাবে পুরো পাতাকে গিরে ছোট, হালকা বেইজ দাগ দেখা যায়। এই উপসর্গগুলি বট্রাইটিস ব্লাইটের অনুরূপ দেখায়। অবশেষে, এই ক্ষত বড়, অনিয়মিত আকৃতির ক্ষত সৃষ্টি করে যা সমগ্র শাখাগুলিকে ঘিরে ফেলতে পারে। গাছের উপরের শাখায় মৃত কোষ কলা থেকে পাতার টেন আকৃতি স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রাথমিকভাবে, কান্ড সবুজ থাকে কিন্তু রোগটি আরও অগ্রসর হলে, তারা শেষ পর্যন্ত তান এবং তারপর বাদামি রং ধারণ করে। উচ্চ আপেক্ষিক তাপমাত্রায় আক্রান্ত পাতা ধূসর থেকে কালো দেখায়। পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে এবং পরবর্তী সময় সংক্রমণের জন্য গুটি রেখে দেয়। মাঝে মাঝে গাছের প্রান্তে কিছু পাতা ছাড়া পুরো গাছ পাতা শূন্য হয়ে যায়। দূর থেকে জমিকে দেখতে অনিয়মিত বাদামী রঙের দেখায়।
এজাডিরেক্টা ইন্ডিকা (নিম) এবং ডাটুরা স্ট্রেমোনিয়াম (জিমস আগাছা) এর জৈবিক বালাইনাশক ব্যবহার করে প্রচলিত কীটনাশকের ন্যায় এ রোগ দমন করা যায়। গ্রীনহাউজ ব্যবস্থার অধীনে, ট্রাইকোডার্মা হারজিয়ানম এবং স্ট্যাচবিট্রিয়েস স্টার্টারামের সংঘটিত পণ্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করে বা প্রয়োগের ফলে রোগের সংক্রমণ এবং তীব্রতা (উভয় ক্ষেত্রে প্রায় ৭০%) হ্রাস পায়।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। মসুরের স্টেমফাইলিয়াম ব্লাইট রোগ দমনে মৌশমের শেষ তৃতীয়াংশে প্রতিরোধী ব্যবস্থা হিসেবে বালাইনাশকের ব্যবহার কার্যকরী। এজোস্ট্রাইবিন+ ডাইফিনকোনাজল, বসকালিড+পাইরাক্লোস্ট্রবিন, ক্লোরোথালোনিল,ইপ্রিডায়ন, মেনকোজেব এবং প্রোকোলারেজ এর সক্রিয় উপাদান ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। যখন ছত্রাকের জন্য আবহাওয়া অনুকূল থাকে না ( ঠান্ডা এবং শুষ্ক ) তখন বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে। কীটনাশক পরিবর্তন করে ব্যবহার করলে এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
প্লেওস্পোরা হারবেইরাম মসুরের স্টেমফাইলিয়াম ব্লাইট রোগের জন্য দায়ী, যা সাধারণত রোগের নাম অনুসারে স্টেমফাইলিয়াম হারবেইরাম নামে পরিচিত। এটা বীজ বা সংক্রামিত মৃত উদ্ভিদ ধ্বংসাবশেষ বেঁচে থাকতে পারে। মসুরের পাশাপাশি এটি অনেক বড় পাতা গাছে আক্রমণ করতে পারে। রোগের বিকাশের জন্য ঋতুর শেষ দিকে পাতা অধিক সময় ভেজা থাকা দরকারী। উপসর্গের সূচনা এবং তীব্রতাও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে, অনুকূল তাপমাত্রা হলো ২২-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতার সময়কালের ( ২৪ ঘন্টার বেশি) উপরও এরা অনেকাংশে নির্ভর করে। বয়স্ক গাছ অল্প বয়সের তুলনায় রোগের বিকাশের জন্য অধিক সংবেদনশীল, বিশেষ করে যখন নাইট্রোজেনের অভাব দেখা যায়।