Deightoniella torulosa
ছত্রাক
পাতার কিনারার নিকটে প্রধান শিরায় গোলাকার, আলপিনের ডগার মত কালো দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে এ দাগগুলো আকারে বড় হয় এবং হলুদ সরু ধার উৎপন্ন হয়। বড় দাগগুলোর কেন্দ্র শুকিয়ে যায় বিবর্ণ বাদামী দাগ হলুদ সীমার বাইরে পত্রফলকের প্রান্ত বরাবর বাড়তে থাকে। এজন্য দাগগুলো উল্টা ইংরেজি ভি (^) অক্ষরের মত দেখায়। পরবর্তীতে তারা পত্রফলকের ধার বরাবর অগ্রসর হয়, কোষকলা বিবর্ণ হয়ে কালো হয়ে যায়। ফলের ক্ষেত্রে, প্রথমে কলার ডগায় বিবর্ণ কালো দাগ দেখা যায় এবং পরবর্তীতে কখনও কখনও হলুদ সীমাবিশিষ্ট অনিয়মিত বা ক্ষুদ্র দাগ সৃষ্টির মাধ্যমে কলা বরাবর অগ্রসর হয়। কিছু কিছু জাতে, গোলাকার লালচে বাদামী দাগ বা কালো রঙের কেন্দ্রবিশিষ্ট ঘন সবুজ, জলেভেজা বলয় দেখা যায়।
অদ্যাবধি এ ছত্রাকের বিরুদ্ধে জৈবিক নিয়ন্ত্রণের কৌশল সুনির্দিষ্ট হয়নি। সংক্রমণ মারাত্মক হলে জৈব তামা উদাহরণস্বরূপ ১ শতাংশ বোর্দো মিক্সচার ছিটানো যেতে পারে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। আক্রমণ মারাত্মক হলে ০.৪ শতাংশ ম্যানকোজেব বা তেলভিত্তিক ০.২-০.৪ শতাংশ কপার অক্সিক্লোরাইড রাসায়নিক ব্যবহার করুন। ক্লোরোথ্যালোনিল বা ম্যানকোজেব এর মত স্পর্শক ছত্রাকনাশক ও টেবুকোনাজল বা প্রোপিকোনাজল এর মত সিস্টেমিক ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে। শীর্ষের পাতায় রাসায়নিক ছিটানো নিশ্চিত করুন।
ডিঘটোনেইলা টরুলোসা ছত্রাকের কারণে এ রোগ হয়। এটি মৃত কলাপাতায় বিদ্যমান থাকে এবং বৃষ্টি ও শিশিরের সময় নতুন সংক্রমণ ঘটায়। আর্দ্রতা হ্রাসের সাথে সাথে, স্পোরগুলো আগ্রাসী হয় উঠে এবং সেখান থেকে মুক্ত হয়ে রোগটি বায়ুবাহিত হয়ে পড়ে। এ কারণে যখন বায়ু শুষ্ক থাকে এবং এরপরেই বায়ুর আর্দ্রতা উচ্চ হয়ে উঠে তখন রোগের বিস্তার দ্রুত হয়। ঘনভাবে রোপনকৃত জমিতে ছত্রাকের বিস্তার আনুকূল্য পায়। এ ছত্রাক কলাগাছের কোষকলা ধ্বংস করে, যেকারণে সালোকসংশ্লেষণের স্থান ও ফলন হ্রাস পায়।