ধান

ধানের পাতায় চিকন বাদামী দাগ রোগ

Sphaerulina oryzina

ছত্রাক

সংক্ষেপে

  • পাতার শিরার অক্ষ বরাবর লম্বা দাগ দেখে এ রোগ টি সনাক্ত করা যায়।
  • পাতার খোলের বর্ধিষ্ণু বিবর্ণতাকে "জালিকা ফোস্কা" নামে অভিহিত করা হয়।
  • বৃদ্ধির শেষের দিকে ফুল আসার আগে এ দাগ দৃশ্যমান হয়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

1 বিবিধ ফসল

ধান

উপসর্গ

পাতায় লম্বা দাগ তৈরি হয় যেগুলো ২-১০ মি.মি, লম্বা এবং সাধারনত ১-১.৫ মি.মি.-এর কম প্রসস্থ। পাতার শিরার সমান্তরাল অক্ষ বরাবর বৃদ্ধি পায়। দাগের কেন্দ্র গাঢ় বাদামি রঙের এবং দাগের কিনারা হালকা রঙের হয়ে থাকে। খোলের উপর পাতার মতই দাগ পড়ে কিন্তু শস্যের গায়ে এবং বোঁটার দাগ ছোট এবং পাশাপাশি বাড়ে । সংবেদনশীল জাতগুলোর চেয়ে প্রতিরোধী জাত গুলোতে দাগ চিকন, ছোট এবং কালো হয়। বৃদ্ধির পরবর্তী ধাপে ফুল আসার ঠিক আগের মুহূর্তে দাগ দৃশ্যমান হয়। রোগের কারনে দানা পরিপক্ক হওয়ার আগেই পেকে যায় এবং বীজ বা দানা বেগুনী- বাদামী বর্ণের হয়ে যায় । গাছ সহজেই ঢলে পড়ার লক্ষণ প্রদর্শন করে।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

আমরা দুঃখিত যে, Sphaerulina oryzina এর বিপরীতে বিকল্প কোন চিকিৎসা নেই। দয়া করে রোগটির মোকাবিলার জন্য কিছু জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আপনার থেকে শোনার জন্য আমরা প্রস্তুত।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। যদি চিকন বাদামি দাগের কারনে ধানের বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তবে বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে প্রপিকোনাজল স্প্রে করুন।

এটা কি কারণে হয়েছে

এ রোগ অনেক সময় পটাশিয়ামের অভাবগ্রস্থ মাটিতে এবং ২৫-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সম্পন্ন এলাকায় দৃশ্যমান হয় । ধানের বৃদ্ধির শেষ পর্যায়ে, থোড় বের হওয়ার শুরুর দিকে এ রোগ দেখা যায় । বিকল্প পোষক এ ছত্রাককে বেঁচে থাকতে ও ধান গাছে সংক্রমণ ঘটাতে সাহায্য করে । পুষ্পমঞ্জুরী বৃদ্ধির সময় ফসল বেশী সংবেদনশীল থাকে এবং বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্ষতিও তীব্র হয় ।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • এলাকায় যদি থাকে, রোগ প্রতিরোধী জাত চাষ করুন।
  • জমি ও জমির চারপাশের বিকল্প পোষক সরিয়ে ফে্লুন।
  • পুরু মরসুম জুড়ে পরিমিত মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমানে পটাশিয়ামের ব্যবহার নিশ্চিত করুন ।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন