Phytophthora sojae
ছত্রাক
5 mins to read
রোগ সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে ছত্রাক বীজের পচন ঘটায় নতুবা অঙ্কুরোদগমের পর চারার গোড়া পচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। চারার বৃদ্ধির পরবর্তী ধাপে সংক্রমিত চারাগাছে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লম্বা বাদামী ক্ষত দেখা যায়, যা শিকড় থেকে কাণ্ডের প্রায় অর্ধেক পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। প্রধান মূল ও কাণ্ডের আভ্যন্তরীণ কোষকলার ক্ষতির কারণে পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং নেতিয়ে পড়ে, এমনকি মারাও যায় কিন্তু কাণ্ড মাটিতে পড়ে যায় না। সাধারণত ভারী বৃষ্টিপাতের এক দুই সপ্তাহ পরে জলবদ্ধতা প্রবণ দৃঢ় মাটিতে প্রথম লক্ষণ দেখা যায়। সংবেদনশীল জাতের ক্ষেত্রে এ রোগ বিপুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে।
অদ্যাবধি এ ছত্রাকের বিরুদ্ধে জৈবিক নিয়ন্ত্রণের কৌশল সুনির্দিষ্ট হয়নি।
সম্ভমবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ফাইটোপথোরা সোজি (Phytophthora sojae ) নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একমাত্র রাসায়নিক ব্যবস্থা হল ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করা। বীজ শোধনের জন্য মেফেনোক্সেম (Mefenoxam) এবং মেটাল্যাক্সিল (metalaxyl) ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ছত্রাকনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ পরিলক্ষিত হয়েছে।
ফাইটোপথোরা সোজি (Phytophthora sojae) একটি মাটিবাহিত জীবাণু যা উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ বা বীজে এমনকি ঠাণ্ডা বা বরফ গলনের সময়কালেও বহু বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে। যখন পরিস্থিতি রোগ বৃদ্ধির অনুকুলে (মাটির উচ্চ আর্দ্রতা এবং ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুকুল তাপমাত্রা), তখন এটি সারা মৌসুম ধরে শিকড়ের মাধ্যমে গাছকে সংক্রমিত করতে পারে। সাধারণত, ভারী বৃষ্টিপাতের পরে প্রথম লক্ষণ দেখা দেয়। রোগাক্রান্ত চারাগাছ সারামাঠে বিক্ষিপ্তভাবে বা দুর্বল নিষ্কাশন ব্যবস্থায় নিম্নাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।