Cercospora sojina
ছত্রাক
সংক্রমণ বৃদ্ধির যে কোন পর্যায়ে ঘটতে পারে তবে পুষ্পমঞ্জরী সৃষ্টির সময় কচি পাতাগুলোতে সাধারণতঃ সংক্রামণ বেশি দেখা যায়। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে পাতায় ছোট, বাদামি জলসিক্ত দাগ দৃশ্যমান হয়। সময় গড়ানোর সাথে সাথে, ধূসর কেন্দ্রযুক্ত গোলাকৃতি ক্ষতবিশিষ্ট মৃতকোষকলায় এবং গাঢ় বাদামী বর্ণের পাতার কিনারায় দাগগুলো ( ১-৫ মিমি ) বৃদ্ধি পায়। গুরুতর সংক্রামনের ক্ষেত্রে পাতা মরে যায় এমনকি ঝরে পড়েও যেতে পারে। কাণ্ডে ভঙ্গুর কেন্দ্রবিশিষ্ট প্রসারিত দাগ দৃশ্যমান হয়ে থাকে। ফলে গোলাকৃতি বা প্রসারিত বাদামী নিমজ্জিত ক্ষত দেখা যায়। কুঞ্চিত সংক্রামিত বীজে বিভিন্ন আকৃতির বাদামী বর্ণের দাগ দেখা যায় ।
সম্ভবপর হলে, সর্বদা জৈব উপাদান সমৃদ্ধ একটি সমন্বিত চাষ পদ্ধতি বিবেচনায় রাখুন।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ছত্রাকের বিস্তার রোধে জমিতে পাইরাক্লোস্ট্রবিন সংগঠিত উপাদান দুইবার প্রয়োগ করুন। এক্ষেত্রে প্রথমটি মরশুমের শুরুতে এবং পরেরটি মরশুমের শেষ দিকে প্রয়োগ করুন । আর্দ্র আবহাওয়া ছত্রাকনাশকের কার্যকারিতা ত্বরান্বিত করে থাকে। ফসল সংগ্রহের ২১ দিন পূর্বে কোন ধরণের রোগ দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত নয়।
ব্যাঙের চক্ষুবৎ পাতার দাগ, সারকোস্পরা সজিনা নামক ছত্রাক সৃষ্ট রোগ। এ ছত্রাক জমিতে অবস্থানরত ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং বীজের মধ্যে বেঁচে থাকে। যদি সংক্রমিত বীজ বপন করা হয় তবে তা থেকে সংক্রামিত চারা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বয়স্ক সয়াবিনের পাতা থেকে কচি পাতা তুলনামূলকভাবে রোগের প্রতি সংবেদনশীল। উষ্ণ, আর্দ্র এবং মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়াময় স্থান যেখানে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত বেশি, সেখানে এ ধরণের রোগের প্রকোপ বেশি। মাটির পৃষ্ঠে অবস্থিত সংক্রামিত ফসলের অবশিষ্টাংশ রোগ বিস্তারে বাহকরূপে কাজ করে ।