Phaeosphaeria maydis
ছত্রাক
প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ছোট, ধূসর সবুজ থেকে হলুদাভ দাগ পত্রফলকে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকে। এ দাগগুলো পরবর্তীতে বড় হয় এবং ঝলসানো মৃত কেন্দ্র ও ঘন বাদামী রঙের অনিয়মিত ধার বিশিষ্ট গোলাকার থেকে আয়তাকার ক্ষতে (৩ থেকে ২০ মিমি) পরিণত হয়। মারাত্মক অবস্থায়, এরা একত্র হয়ে যায় এবং পুরো পাতাকে ঝলসে দেয়। পাতার নিচের পাশে ক্ষতের মাঝে ছোট ছোট কালো ফুটকি দেখা যায়। উদ্ভিদের বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে সংক্রমণ ঘটলে এবং ফুল ধারণের আগে উপরের পাতা ঝলসে গেলে ফলনের মারাত্মক হ্রাস ঘটে।
দুঃখিত, পাতার ফিওস্ফেরিয়া দাগ রোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন বিকল্প ব্যবস্থার কথা আমাদের জানা নেই। যদি আপনারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন, তবে এই রোগ দমনে অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনাদের কাছ থেকে জানার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। পত্রপল্লবে ম্যানকোজেব (mancozeb), পাইরাক্লোস্ট্রোবিন (pyraclostrobin) জাতীয় ছত্রাকনাশক ছিটানোর মাধ্যমে এ রোগ দমন করা যায়।
ফিওস্ফেরিয়া ম্যাডিস ছত্রাকের কারণে এ রোগ হয়, যা ফসলের অবশিষ্টাংশে শীত মৌসুম অতিবাহিত করে। অনুকূল অবস্থায়, এর রেণুগুলো বৃষ্টির ছিটা ও বাতাসের মাধ্যমে নতুন গাছে বংশবিস্তার শুরু করে। নতুন পাতায় এগুলোর অঙ্কুরোদগম ঘটে এবং এর মাধ্যমে গৌণ সংক্রমণ শুরু হয়। উচ্চ বৃষ্টিপাত এবং অধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতা (৭০ শতাংশের অধিক), অপেক্ষাকৃত কম রাতের তাপমাত্রা (প্রায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) যৌথভাবে এ রোগের বিস্তারকে আনুকূল্য প্রদান করে। উচ্চ ভূমিতে এসব পরিস্থিতি বিরাজ করে। শুধুমাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রে এ রোগ গাছের উৎপাদন ক্ষমতা ও ফলনে প্রভাব ফেলে। এটি সাধারণত কম গুরুত্বপূর্ণ ও নাবী মৌসুমের রোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।