Asperisporium caricae
ছত্রাক
প্রাথমিকভাবে, মাঝে মাঝে হলুদ আভাযুক্ত বিক্ষিপ্ত তামাটে দাগ নিচের দিকে থাকা পাতায় দৃশ্যমান হয়। পাতার উলটো পিঠে, এই দাগগুলি পরে বৃদ্ধি পায় এবং কালো, উত্থিত, ৪ মিলিমিটার ব্যাস যুক্ত পাউডারের মতো ব্রণ বা ফুসকুড়ি ফুটে বেরোয়। রোগের পরবর্তী পর্যায়ে, এই ক্ষত মরা দাগে রূপান্তরিত হয় এবং পাতার অধিকাংশ অংশ ঢেকে ফেলে। রোগের চরমাবস্থায় বা অন্য ছত্রাকঘটিত রোগের সঙ্গে মিলিত হলে রোগাক্রান্ত পাতা ঝরে পড়ে যায় এবং গাছ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। রোগাক্রান্ত ফলের উপরে কেন্দ্রভাগে কালো ছত্রাকঘটিত দাগসহ অগভীর, হালকা বাদামী, অনিয়মিত ক্ষতদাগ দেখা যায়, যদিও পাতার তুলনায় ফলে আক্রমণের তীব্রতা সামান্য কম থাকে। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় ফল আক্রান্ত হলে অকালে ঝরে পড়ে। ফলের উপরে ক্ষতদাগ সৃষ্টি হলেও, ফলের শাঁস অংশে কিন্তু পচে যাওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যায় না।
অ্যাস্পেরিস্পোরিয়াম ক্যারিসা-র বিরুদ্ধে কোন বিকল্প নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয় নি। এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করবে এমন কোন পদ্ধতির কথা যদি আপনার জানা থাকে তবে অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ডিথিয়োকার্বামেটস (dithiocarbamates) নামক ছত্রাকনাশক দিয়ে পাতার উপরে স্প্রে করলে রোগের তীব্র অবস্থায় তা কার্যকরী হতে পারে।
অ্যাস্পেরিস্পোরিয়াম ক্যারিসা (Asperisporium caricae) নামক ছত্রাক এই রোগের জন্য দায়ী। এ ছত্রাক মধ্য আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ সহ পূর্ব-আফ্রিকায় দেখা যায়। পাতা ও ফল উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে এবং ফসলের জাতের উপর ও আবহাওয়ার উপরে নির্ভর করে রোগের লক্ষণগুলি কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এ রোগ আর্দ্র স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় নিচের দিকে থাকা পাতায় তীব্র লক্ষণ প্রকাশ করে। এ জীবাণুর পরাশ্রয়দানকারী হিসাবে পেঁপে গাছকেই চিহ্নিত করা হয় তবে সাধারনভাবে এই রোগের প্রভাব সামান্যই কারণ ফলের উপরে যে রোগলক্ষণগুলি প্রকাশ পায় তা সাধারণতঃ খুব তীব্র হয় না। যাইহোক, এ রোগের কারণে ফলের গুণমান কিন্তু হ্রাস পায়।