Gibberella fujikuroi
ছত্রাক
এ রোগ বেশিরভাগই বৃদ্ধি পর্যায়ের শেষের দিকে দেখা দেয়। পাতার গোড়ার দিক থেকে শুরু করে হলুদাভ-সবুজ, দৃঢ়তাহীন হয়ে অবশেষে শুষ্ক হয়ে যায়। পত্রমুকুট গুলো সাদা বা হলুদাভ মধ্যশিরা বিশিষ্ট হয়ে যায় এবং ফ্যাকাশে সবুজ পত্রফলক দ্বারা ঘেরা দেখায়। আক্রান্ত আখ খাটো, ওজনে হালকা এবং ফাঁপা মধ্যপর্ব বিশিষ্ট হয় কিন্তু পর্ব এবং কুঁড়ি সুরক্ষিত থাকে। বৃদ্ধিবলয়ের একটু উপরের মধ্যপর্বগুলো লম্বচ্ছেদ করলে গাঢ় লালচে বেগুনী অভ্যন্তরীণ কোষকলা বেড়িয়ে আসে। আক্রমণ ব্যাপক হলে ফলন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।
বীজআখ আর্দ্র ও গরম বাতাসে ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১৫০ মিনিট ধরে শোধন করুন। তারপর বীজআখগুলোকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য 0.১% ব্লিচ দ্রবণে ডুবিয়ে রাখুন। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে যত্ন নিন, গ্লাভস/দস্তানা পড়ুন এবং প্রতিরক্ষামূলক গগলস্ ব্যবহার করুন। পরে গৃহস্থালীর কাজের উদ্দেশ্যে ঐ শোধন পাত্রটি ব্যবহার করবেন না।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। আখের নেতিয়ে পড়া রোগের বিরুদ্ধে কোনও রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ কার্যকর নয়।
আক্রান্ত উদ্ভিদে বর্ষা মরশুমে বা বর্ষার পরে এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। ছত্রাক প্রধানত অন্যান্য কীটপতঙ্গ যেমন- কাণ্ড ছিদ্রকারী মাজরা পোকা, উইপোকা, ছাতরা-পোকা, জাবপোকা, মিলিবাগ ইত্যাদি দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতমুখ দিয়ে কাণ্ডের মধ্যে প্রবেশ করে। জৈবিক পীড়ন যেমন- খরা এবং জলবদ্ধতা- এগুলো আখ গাছকে নেতিয়ে পড়া রোগে সংক্রমিত হওয়ার উপযোগী করে তোলে। জলীয় পীড়নের সঙ্গে উচ্চ তাপমাত্রা এবং নিম্ন আর্দ্রতা সংযুক্ত হলে উদ্ভিদের নেতিয়ে পড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।