Colletotrichum sp.
ছত্রাক
ফলের গায়ে জলে ভেজা গোলাকার কিংবা কৌণিক ক্ষত দেখা যায় যা পরবর্তীতে নরম এবং সামান্য দাবানো হয়। ক্ষতস্থানের কেন্দ্র কমলা অথবা বাদামী বর্ণের হয় যা পরবর্তীতে কালো বর্ণ ধারন করে এবং আশেপাশের কোষকলা হালকা বর্ণের হয়ে থাকে। ফলের অধিকাংশ পৃষ্ঠ জুড়ে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে এবং একাধিক ক্ষত তৈরী হতে পারে। সাধারণত ফলের দাগে এককেন্দ্রিক একাধিক বলয় দেখা যায়। কাঁচা মরিচ প্রচ্ছন্নভাবে আক্রান্ত থাকতে পারে কিন্তু ফল পাকার আগে পর্যন্ত কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়না। পাতা এবং কাণ্ডে ছোট, অনিয়মিত আকৃতির গাঢ় বাদামী প্রান্তযুক্ত ধূসর-বাদামী বর্ণের দাগের মাধ্যমে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। মরশুমের শেষ ভাগে, শাখা-প্রশাখা মরে যায় এবং পরিপক্ক ফল পচে যায়।
আক্রান্ত বীজ ৩০ মিনিট ধরে ৫২°সে. তাপমাত্রার গরম জলে ডুবিয়ে রাখতে হবে। আশাতীত ফলাফল নিশ্চিত করতে এ শোধন ব্যবস্থায় তাপমাত্রা এবং সময় সঠিকভাবে অবলম্বন করতে হবে।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। যদি ছত্রাকনাশক প্রয়োজন হয় তবে ম্যানকোজেব অথবা কপার সংগঠিত পণ্য স্প্রে করুন। ফুল আসার সময় থেকেই দমন ব্যবস্থা নিতে শুরু করুন।
এ রোগ মুলত কলিটোট্রিকাম বর্গের ছত্রাক এবং বিশেষকরে সি. গ্লোইয়োস্পোরিওইডিস এবং সি. ক্যাপসিসির কারনে ঘটে। এ জীবাণু মরিচ গাছের বৃদ্ধির যে কোন পর্যায়ে যেমন অপরিপক্ক, পরিপক্ক কিংবা ফসল উত্তোলনের পরেও আক্রমণ করতে পারে। এ জীবাণু মরিচের বীজ, গাছের ধ্বংসাবশেষ কিংবা সোলানেসি জাতীয় বিকল্প আবাসে বেঁচে থাকে। জীবাণুগুলো আক্রান্ত চারা রোপনের মাধ্যমেও নতুনভাবে প্রবর্তিত হতে পারে। উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে এ ছত্রাকগুলো সতেজ থাকে এবং বৃষ্টি কিংবা সেচের জলের মাধ্যমে বিস্তৃত হতে পারে। সাধারণত ১০-৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মরিচের ফলে সংক্রমণ ঘটতে পারে কিন্তু ২৩-২৭° সেলসিয়াস তাপমাত্রা রোগ ক্রমবর্ধনের জন্য অনুকূল। ফলের পৃষ্ঠের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেলে ফোস্কা রোগের বৃদ্ধি ঘটে।