Ceratocystis paradoxa
ছত্রাক
পোকামাকড় দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত বা কাটা অংশের মাধ্যমে ছত্রাক কলা গাছে প্রবেশ করে। তারপর আভ্যন্তরীণ কোষকলায় দ্রুত ছড়িয়ে। এগুলো লাল হয়ে যায় এবং পরে বাদামী-কালো ও কালো হয়ে যায়। পচন ধরার কারনে গর্ত হয় এবং তা থেকে অতিরিক্ত পেকে যাওয়া আনারসের মতো গন্ধ নির্গত হয়। এ গন্ধ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিদ্যমান থাকতে পারে। সংক্রামিত কলা গাছের শিকড় বের হতে ব্যর্থ হয়, ডগা বের হতে ব্যর্থ হয় এবং যদিও বের হয় তা পরবর্তীতে মারা যায় বা খাটো থাকে।
নামলা রোপণের ক্ষেত্রে, কলার চারা গরম পানিতে ( ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) শোধন করুন। মাঠ পরীক্ষা করে সেই সকল চারা চিহ্নিত করুন, যেগুলোর মাথা বের হতে পারছে না, কোন পচন এবং গন্ধ বের হচ্ছে কিনা নিরীক্ষা করুন।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ছত্রাকনাশক দিয়ে দমন প্রক্রিয়া অর্থনৈতিকভাবে সফল নাও হতে পারে।
কলা রোপণের পরে প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কীটপতঙ্গের আক্রমণ শুরু হয়। বায়ু বা জলের এমনকি জলসেচের মাধ্যমে ছত্রাকের স্পোর ছড়িয়ে পড়ে। কীটপতঙ্গ, বিশেষ করে বিটলস, কলার চারার মধ্যে ছিদ্র করে স্পোর ছড়াতে পারে। ছত্রাক জীবাণু অন্তত এক বছর মাটিতে বেঁচে থাকতে পারে। সংক্রামিত কলা গাছে এরা কয়েক মাস বেঁচে থাকতে পারে। বৃষ্টিপাতের পরে জমাটবদ্ধ অবশিষ্ট জলে রোগের সংবেদনশীলতা বাড়তে পারে। ছত্রাক বৃদ্ধিতে বা স্পোর ছড়িয়ে পড়তে ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা সর্বাধিক অনুকূল। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী খরায় কলা গাছের কাণ্ডে সংক্রমণের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।