আখ

ইক্ষুর সাধারণ মরিচা রোগ

Puccinia melanocephala

ছত্রাক

সংক্ষেপে

  • প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে ইক্ষুর পাতায় হলদে বর্ণের লম্বাটে দাগ পড়ে।
  • ক্রমশঃ দাগের রঙ পরিবর্তন হয়ে লালচে-বাদামী হয়।
  • মারাত্মকভাবে আক্রান্ত গাছের পাতা মরে পচে যেতে পারে।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

1 বিবিধ ফসল

আখ

উপসর্গ

ইক্ষুর পাতায় ১-৪ মি.মি লম্বা হলুদ দাগ হলো এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। পাতার পৃষ্ঠদেশ থেকে শুরু হওয়া এ দাগগুলো রোগ বাড়তে থাকলে ক্রমশঃ শিরা বরাবর লম্বা হয়। দাগগুলো দৈর্ঘ্যে ২০ মি.মি পর্যন্ত লম্বা এবং প্রস্থে ৩ মি.মি. পর্যন্ত প্রশস্ত হতে পারে। l দাগগুলো ছোট ছোট কিন্তু স্পষ্ট কমলা-বাদামী অথবা লালচে-বাদামী বর্ণের গর্ত বা ফাঁকাস্থান তৈরি করতে পারে। ক্ষুদ্র গর্তগুলো একত্রিত হয়; ফলে পাতার বাইরের ত্বক বিদীর্ণ হয়ে যায় এবং পচনশীল জায়গা তৈরি হয়। দাগগুলো পাতার আগার দিকেই বেশি হয় এবং গোড়ার দিকে কম হয়।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

দুঃখিত, আমরা এ রোগের জীবাণু পাকসিনিয়া মেলানোসেফালা-র বিরুদ্ধে অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থার কথা জানি না। আপনার জানা থাকলে আমাদের জানান।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ছত্রাকনাশক দিয়ে এ রোগের নিয়ন্ত্রণ বাস্তবসম্মত নয় এবং আর্থিক ভাবেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

এটা কি কারণে হয়েছে

রাতের তাপমাত্রা কম এবং দিনের তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রি সে.গ্রে. হলে এবং সেই সাথে শতকরা ৯৮ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকলে এ রোগ বিস্তার লাভ করে বেশি। নয় ঘন্টা বা তারও বেশি সময় অবিরাম ইক্ষুর পাতা ভেজা থাকলেও এ রোগের বিস্তার বেশি হয়। অনুকূল পরিবেশে এ রোগের জন্য দায়ী পাকসিনিয়া মেলানোসেফালা নামক জীবাণুর সংক্রমণ চক্র শেষ হতে মাত্র ১৪ দিন সময় লাগে। দুই থেকে ছয় মাস বয়সী ইক্ষু গাছ সবচেয়ে বেশি এ রোগের প্রতি সংবেদনশীল হয়।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • রোগ প্রতিরোধী সহনশীল ইক্ষুর জাত ব্যবহার করুন।
  • মাটিতে সুষম পুষ্টির উপস্থিতি নিশ্চিত করুন।
  • ইক্ষুর বৃদ্ধির সময় মাটিতে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
  • জমিতে লম্বা পরিখা কিংবা জোড়া সারি পদ্ধতিতে ইক্ষু রোপণ করুন।
  • আক্রান্ত গাছের খড় এবং নাড়া পুড়িয়ে ফেলুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন