Septoria lycopersici
ছত্রাক
এ রোগের লক্ষণ নিচ থেকে উপরের দিকে উদ্ভিদের নতুন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। পুরাতন পাতার নিচে গাঢ়-বাদামী বর্ণের রেখার মাঝে ছোট, জলে-ভেজা ও ধূসর রঙের গোলাকার দাগ দেখা যায়। রোগ প্রকোপের তীব্র পর্যায়ে, দাগগুলো বড় হতে হতে একীভূত হয়ে যায় এবং তাদের কেন্দ্রে কালো রঙের বিন্দু দেখা দেয়। একই ধরণের লক্ষণ কাণ্ড ও ফুলেও দেখা যেতে পারে, তবে কদাচিৎ ফলে দেখা যায়। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত পাতা হলদেটে বর্ণ ধারণ করে শুকিয়ে ঝরে যায়। এ পত্রমোচণের প্রত্যক্ষ প্রভাবে ফল রৌদ্রে পোড়া বলে মনে হয়।
কপার সংঘঠিত ছত্রাকনাশক, যেমন – বোর্দো মিশ্রণ, কপার হাইড্রক্সাইড , কপার সালফেট , অথবা কপার অক্সিক্লোরাইড সালফেট এ রোগের জীবাণু নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। ৭ থেকে ১০ দিন অন্তর অন্তর সারা মৌসুম জুড়ে বিশেষ করে ফুল ও ফল ধরার সময় স্প্রে করতে হবে। ফসল তোলার আগে কি নিয়মে ব্যবহার করতে হবে তা কীটনাশকের মোড়কে লেখা নিয়ম দেখে অনুসরণ করুন।
সম্ভবমত সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। মানেব, ম্যানকোজেব এবং ক্লোরোথালোনিল সংঘটিত ছত্রাকনাশক টমেটোর সেপটোরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। ৭ থেকে ১০ দিন অন্তর অন্তর সারা মৌসুম জুড়ে বিশেষ করে ফুল ও ফল ধরার সময় স্প্রে করতে হবে। ফসল তোলার আগে কি নিয়মে ব্যবহার করতে হবে তা কীটনাশকের মোড়কে লেখা নিয়ম দেখে অনুসরণ করুন।
টমেটোর সেপটোরিয়া রোগ সারা পৃথিবীজুড়েই ঘটে থাকে, যা সেপ্টোরিয়া লাইকোপারসিসি নামক এক ধরণের ছত্রাকের কারণে ঘটে। এ ছত্রাক দ্বারা শুধুমাত্র আলু ও টমেটো গাছ আক্রান্ত হয়। ছত্রাকের বৃদ্ধির জন্য উপযোগী তাপমাত্রা ১৫° থেকে ২৭° সেলসিয়াস, তবে ২৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ছত্রাকের বৃদ্ধি সর্বাধিক হয়ে থাকে। ছত্রাকের ছত্রাকরেণু বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে, যেমন –উপর থেকে উদ্ভিদে সেচ প্রদান, বৃষ্টির ঝাপট, ফসল সংগ্রহকারীর হাত বা কাপড়, গুবরে-পোকা এবং চাষের সরঞ্জাম। এ ছত্রাক সোলানাসি জাতের আগাছায় গোটা শীতকাল এবং মাটি এবং মাটিতে থাকা ফসলের অবশিষ্টাংশে স্বল্পকাল বেঁচে থাকতে পারে।