Phytophthora spp.
ছত্রাক
উদ্ভিদের শিকড়ে যে সমস্ত রোগ হয় তার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই উপসর্গগুলি একইরকম হয়। ছোট এবং সামান্য বর্ণহীন পাতা, নিম্ন গুনমানের ফল এবং আভ্যন্তরীন দেহকোষে পচন ধরা গোড়াপচা রোগের প্রধান উপসর্গ। রোগাক্রান্ত আঙ্গুরলতার বৃদ্ধি থমকে যেতে পারে এবং অকালে পত্রমোচন হতে পারে। কাণ্ডের নীচের অংশের প্রস্থচ্ছেদ করলে উদ্ভিদের গোড়া থেকে সমগ্র শিকড়ে লালচে বাদামী মৃত দূষিত ক্ষতস্থান লক্ষ্য করা যায়। দূষিত ক্ষত অবশেষে কাণ্ডকে ঘিরে ফেলে, জল সংবহনে এবং আঙ্গুরলতার উপরের অংশে পুষ্টি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে এবং শেষপর্যন্ত উদ্ভিদের মৃত্যু ঘটায়। আঙ্গুরলতাকে অনায়াসেই মাটি থেকে উপড়ে তুলে ফেলা যায়।
দুঃখের বিষয় হলো ফাইটোপথোরা (Phytophthora )-র বিরুদ্ধে কোন বিকল্প নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কথা আমরা জানি না। যদি এই রোগ ও রোগের তীব্রতা কমাতে কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করে আপনি সফল হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। আঙ্গুরের গোড়াপচা রোগকে নিয়ন্ত্রন করতে কোনরকম রাসায়নিক প্রয়োগ করার পক্ষপাতী আমরা নই।
ফাইটোপথোরা (Phytophthora) বর্গের একাধিক প্রজাতি এ উপসর্গগুলি তৈরী করে। চাষের জমিতে একবার পৌঁছাতে পারলেই অনেক বছর ধরে মাটিতেই বেঁচে থাকতে পারে। চাষের জমি থেকে সমস্ত উদ্ভিদই সমূলে উপড়ে তুলে ফেলা অনায়াসসাধ্য নয়। এ সমস্ত জীবাণু মাটির উচ্চ আর্দ্র পরিবেশে সক্রিয় হয়ে ওঠে। রোগাক্রান্ত আঙ্গুরলতা চাষের জমিতে এক বা একাধিক থাকতে পারে এবং এই সঙ্গে যুক্ত হয় দুর্বল জল নিকাশী ব্যবস্থা বা পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত জলসেচন। যে আঙ্গুর বাগানে ফোঁটায় ফোঁটায় উদ্ভিদের গোড়ায় জলসেচ দেওয়ার পদ্ধতি চালু আছে, সেখানে উদ্ভিদের যে অংশে জল সরাসরি প্রবাহিত হয় সেখানে মাঝে মধ্যে রোগের উপসর্গগুলি ফুটে ওঠে। সংক্রমিত সরঞ্জাম পরিবহণের মাধ্যমে এ রোগ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, উদাহরণ হিসাবে কলম তৈরী করার সময়ের কথা বলা যায়।