Didymella rabiei
ছত্রাক
প্রথম উপসর্গ হিসেবে মাটির উপরে গাছের সমস্ত অংশেই ছোট কালো দাগের আবির্ভাব হয় যা প্রায় ১ মিমি. ব্যাসযুক্ত হয়। পরবর্তীতে, সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট ক্ষত বাদামী বর্ণের হয়ে যায় এবং উক্ত ক্ষতগুলির ভেতরে গাঢ় কিনারাযুক্ত সমকেন্দ্রিক বৃত্তের সৃষ্টি হয়। এ সমকেন্দ্রিক বৃত্তগুলিই হল রোগের সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উপসর্গ। রোগের প্রকোপ আরও বাড়লে , কাণ্ডের উপর লম্বা বড় ক্ষত তৈরি হয়, কাণ্ডের চারিদিকে ঘিরে ফেলে, কাণ্ড মারা যেতে পারে ও পরে ভেঙে পড়তে পারে।
আমরা দুঃখিত যে, অ্যাসকোসাইটা রাবিয়েই-র (Ascochyta rabiei) বিরুদ্ধে কোন বিকল্প নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা আছে কিনা তা এখনো আমাদের অজানা। যদি আপনি এই রোগের বিরুদ্ধে বিকল্প কোন নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা প্রয়োগ করে সফল হয়ে থাকেন তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার কাছ থেকে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
থিয়াবেন্ডাজোলের (Thiabendazole) সাহায্যে সংক্রমিত বীজকে বীজানু-মুক্ত করতে পারেন। অনুকূল পরিস্থিতিতে, প্রস্ফুটন শুরু হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন আগে সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ক্লোরোথ্যালোনিল (Chlorothalonil) সংঘটিত ছত্রাকনাশক পাতার উপরে প্রয়োগ করুন। ক্লোরোথ্যালোনিল প্রয়োগের সাত থেকে দশ দিন পরে, সাধারণত আন্তঃবাহী ছত্রাকনাশক (প্রোলিন, এন্ড্যুরা, প্রিয়াক্সর ইত্যাদি) প্রয়োগ করতে হয়।
অ্যাসকোকাইটা ব্লাইট (Ascochyta Blight) অ্যাসকোসাইটা রাবিয়েই নামক ছত্রাকের আক্রমণের দ্বারা হয়ে থাকে। সাধারনত এ রোগের বিস্তার শীতের শেষ ভাগে হয়ে থাকে এবং ঠাণ্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়াতে এ রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পায়। উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং ভোরের শিশির এ রোগের জন্য সহায়ক। উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশে এ রোগ কয়েক বছর ধরে এর জীবন অতিবাহিত করতে পারে। বাতাসের মাধ্যমে এবং বৃষ্টির ঝাপটায় এ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। এর রেণু কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। কমপক্ষে দুই ঘন্টা পাতা ভেজা অবস্থায় থাকলে এ জীবাণু সংক্রমণ ঘটাতে পারে। চলমান ক্ষত থেকে এ রোগ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।