Fusarium solani f. sp. phaseoli
ছত্রাক
বপনের কয়েক সপ্তাহ পরে, সংক্রামিত চারার পাতা হলুদাভ হয়ে যায় এবং মরে যেতে শুরু করে। পরিবেশগত পরিস্থিতি এই রোগের অনুকূলে থাকলে গাছ খর্বাকৃতির হতে পারে এবং খুব শীঘ্রই মারা যায়। ভূগর্ভস্থ অংশের লক্ষণগুলো অঙ্কুরোদগমের এক সপ্তাহ পরে প্রধান শিকড়ে লালচে ক্ষত বা রেখা হিসাবে দেখা দেয়। এধরনের ক্ষতগুলো গাঢ় বাদামী বর্ণের, একত্রিত হয়ে যেতে পারে এবং শুকানোর পরে এগুলো শিকড়ের অক্ষের সাথে ফাটল সৃষ্টি করে। পার্শ্বীয় শিকড় এবং শিকড়ের আগা কুঁচকে যায় এবং মরে যেতে পারে কিন্তু গাছের সাথে লেগে থাকতে পারে। এ ক্ষতের উপরে মাটির কাছাকাছি অংশে নতুন তন্তুযুক্ত শিকড় সৃষ্টি হতে পারে। কোষকলা নরম হয় না এবং পচন ধরে না , যার ফলে এ রোগটির আরও একটি নাম হচ্ছে "শুকনো শিকড় পচা" রোগ। যদি এগুলো গাছে বেঁচে থাকে, তবে সংক্রামিত গাছে কেবল স্বল্প বীজ সহ গুটিকয়েক ফল ধরে।
জৈবনিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে বীজ শোধন, যেমন ব্যাসিলাস সাবটিলিসের সাথে রাইজোবিয়াম ট্রপিসি বেশ কার্যকর হতে পারে। অণুজীবের মাধ্যমে অন্যান্য শোধন প্রক্রিয়ার মধ্যে ট্রাইকোডার্মা হার্জিয়ানাম সংগঠিত দ্রবণ উল্লেখযোগ্য।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ছত্রাকনাশক সাধারণত ফিউজারিয়াম শিকড় পচা নিয়ন্ত্রণে খুব বেশী কার্যকর হয় না।
ফিউজারিয়াম শিকড় পচা রোগ সাধারনত ফিউজারিয়াম সোলানি ছত্রাকঘটিত রোগ যা বেশ কয়েক বছর ধরে মাটিতে ফসলের অবশিষ্টাংশের মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে। এ ছত্রাক অঙ্কুরোদগমের অল্পক্ষণের মধ্যেই বর্ধনশীল চারার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং জল ও খাদ্যপ্রাণ পরিবহন কোষকলায় অবস্থান করে। ছত্রাকের উপস্থিতি সাধারণত স্থিতিশীল সুস্থ সবল গাছের সামান্য ক্ষতি করে। তবে যদি পরিবেশগত পরিস্থিতি প্রতিকূল হয় ( যেমনঃ খরা, বন্যা কবলিত জমি, খাদ্যপ্রাণের ঘাটতি, বেশী গভীরে রোপন, শক্ত মাটি, বালাইনাশক জনিত ক্ষতি), এবং সেইসঙ্গে অবরুদ্ধ জল এবং খাদ্যপ্রাণ পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সৃষ্ট চাপ লক্ষণগুলোর উপস্থিতি বাড়ায়। এক্ষেত্রে, ফলনের অভাবনীয় ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে।