Sporisorium scitamineum
ছত্রাক
ইক্ষু গাছের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল থেকে একটি কালো রঙের চাবুকের মত অংশ উত্থিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ উত্থিত অংশটি আক্রান্ত ইক্ষুর উপর দিয়ে প্রসারিত হয়। ইক্ষু গাছ থেকে বের হওয়া এ বর্ধিত অংশটি ইক্ষুর কোষকলা এবং ছত্রাকের কলার সমন্বয়ে গঠিত। ছত্রাকের জীবাণুগুলো এ চাবুক সদৃশ গঠনের ভিতরে থাকে। জীবাণুগুলো মুক্ত হয়ে যাওয়ার পর শুধু চাবুকের মূল গঠনটিই অবশিষ্ট থাকে। উপরন্তু গাছগুলো খর্বাকৃতির হয় এবং পাতাগুলো চিকন ও শক্ত হয়।
সকল আক্রান্ত ইক্ষু গাছ এবং অবশিষ্টাংশ জমি থেকে সরিয়ে নিন এবং ধ্বংস করুন। রোগমুক্ত ইক্ষু চারা নিশ্চিত করার জন্য চারা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট অথবা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২ ঘন্টা ডুবিয়ে শোধন করতে হবে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। চারা রোপণের পূর্বে ইক্ষুকে বেনজিমিডাজল অথবা ট্রাইয়াডিমেফন দিয়ে শোধন করলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব কমে।
চাবুকের ভিতরে যে ছত্রাক জীবাণুগুলো সৃষ্টি হয়, সেগুলো বাতাস এবং কিছু পোকামাকড় দ্বারা ছড়ায়। আক্রান্ত ইক্ষু থেকে পুনরায় চারা রোপণ করা হলেও এ জীবাণু বিস্তার লাভ করে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া এ রোগ প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি বাড়ায়। কোন রকম বাহ্যিক লক্ষণ প্রকাশ না করেই আক্রান্ত ইক্ষুর ভিতরে এ রোগ কয়েক মাস বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে পারে। পরবর্তী দুই থেকে চার মাস, কিংবা কখনো এক বছর পর ইক্ষুর বর্ধিষ্ণু অঞ্চল থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ‘চাবুক’ সৃষ্টি হয়।