Claviceps fusiformis
ছত্রাক
সংক্রমিত ফুল থেকে শীষের মাথায় গোলাপী থেকে লাল রঙের তরলের ক্ষরণ দেখা যায় (শর্করা জাতীয় মধুর মতো ঘন তরল)। এ তরল পাতা বেয়ে গড়িয়ে মাটিতে পড়ে। এ তরলে অত্যধিক মাত্রায় কনিডিয়া থাকে। সংক্রমিত ফুল থেকে শস্য উৎপাদন হয় না। কালো রঙের ছত্রাক বীজের স্থান দখল করে।
বাজরা ফসলে এরগটের আক্রমণ কমাতে জৈব দমন ব্যবস্থা আশানুরূপ ফল দেয়। ভুট্টার শীষে ফুলের আগমন ঘটাতে ট্রাইকোডার্মা হারজিয়ানাম, টি. ভিরিডি, অ্যাসপারজিল্লাস নিগার, এপিকোক্কাম অ্যান্ড্রোপোগোনিস ও ব্যাসিলাস সাবটাইলিস স্প্রে করা যেতে পারে। অশোধিত নিম থেকে প্রস্তুত দ্রব্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। সীমিত কার্যকারিতার জন্যে এবং অর্থনৈতিক কারণে, রাসায়নিক দমন ব্যবস্থায় উৎসাহ দেওয়া হয় না। জিরাম (Ziram) বা কার্বেনডাজিম (Carbendazim) সমৃদ্ধ ছত্রাকনাশক এরগটকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিহত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্ল্যাভিসেপস ফিউসিফরমিস নামক ছত্রাকের কারণে এই লক্ষণ দেখা যায়। সংক্রমণের ৫ থেকে ৭ দিন পরে, উদ্ভিদ থেকে মধু নিঃসৃত হতে থাকে। এ মধু ফুলে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঘটায়। পরাগরেণু বৃষ্টি, বাতাস ও কীটপতঙ্গের মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে। একবার পেটে চলে গেলে এরগট মানুষ ও প্রাণীদের পক্ষে মারাত্মক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাকে ডেকে আনতে পারে। উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশের মধ্যে এ ছত্রাক বছর জুড়ে টিকে থাকতে পারে। এ ছত্রাকের সংক্রমণের অনুকূল পরিস্থিতি হলো আপেক্ষিক আর্দ্রতাযুক্ত আবহাওয়া ও ২০ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।