ছত্রাক
Fusarium oxysporum
একটা ছবি তুলুন
লক্ষণ দেখে রোগনির্ণয় করুন
দমনব্যবস্থা হাতে পান
একটা ছবি তুলুন
লক্ষণ দেখে রোগনির্ণয় করুন
দমনব্যবস্থা হাতে পান
এ সমস্ত ছত্রাকগুলি যে ক্ষতি ঘটায় তার শস্য-সুনির্দিষ্ট একটি নকশা আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে, উদ্ভিদ এমনকি চারা অবস্থাতেও শুকিয়ে যেতে পারে এবং পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পূর্ণ বয়সী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কোন কোন অংশে প্রায়ই সামান্য শুকিয়ে যাওয়ার ভাব দেখা যায়। দিনের সবথেকে উষ্ণ সময়ে এটা সাধারণ ঘটনা। পরবর্তীতে প্রায়শই পাতার একদিক পাণ্ডুর বর্ণ ধারণ করে। কাণ্ডকে উল্লম্বরেখা বরাবর ছেদ করলে প্রথমে নীচের দিকের এবং পরে উপরের দিকের আভ্যন্তরীন কলায় বাদামী-লাল বিবর্ণ ভাব দেখা যায়।
ফিউজারিয়াম উইল্ট উদ্ভিদের পরিবহন কলাকে আক্রমণ করায় তা সমগ্র উদ্ভিদে জল ও খাদ্যপ্রাণ সরবরাহে প্রভাব ফেলে। শিকড়ের অগ্রভাগ বা এতে উপস্থিত ক্ষতের মাধ্যমে উদ্ভিদ সরাসরি রোগাক্রান্ত হতে পারে। যদি একবার কোন স্থানে জীবাণু বাসা বাঁধে, কয়েক বছর ধরে সেই স্থানেই তা সক্রিয় থাকে।
ব্যাকটেরিয়া ও F. oxysporum-এর অ- জীবাণু স্ট্রেন্স এ জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে পারে এমন কিছু জৈবিক নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান ব্যবহার করে কিছু ফসলের ক্ষেত্রে ফিউসারিয়াম উইল্টকে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি (১০ গ্রাম/প্রতি কেজি. বীজ) ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যেতে পারে। কিছু ধরনের মাটি আছে যা ফিউজারিয়ামের বৃদ্ধিকে দমন করতে পারে। মাটির অম্লত্ব মাত্রা ৬.৫ থেকে ৭.০ র মধ্যে রাখলে এবং নাইট্রোজেনের উৎস হিসাবে অ্যামোনিয়ামের বদলে নাইট্রেট ব্যবহার করলে রোগের তীব্রতা কম থাকে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। যদি অন্য কোন ব্যবস্থাই কার্যকরী না হয় তবে রোগাক্রান্ত স্থানে মৃত্তিকা -ভিত্তিক ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন। রোপন/বপনের আগে কপার অক্সিক্লোরাইড @ ৩ গ্রাম/লি ব্যবহার করে মাটি ভিজিয়ে দিন।