Erysiphaceae
ছত্রাক
রোগের প্রথমে, কাণ্ড ও মাঝেমাঝে ফলের উপরে বৃত্তাকার, পাউডারের মতো সাদা দাগের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই দাগ সাধারণত পাতার উপরিভাগকে আবৃত করে ফেলে কিন্তু পাতার নিম্নতলেও এই দাগ দেখা যেতে পারে। ছত্রাক সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াকে বাধাদান করে এবং তার ফলে পাতা হলুদ হয়ে শুকিয়ে যায় ও কিছু পাতা কুঁচকে যায়, ভেঙে যায় বা বিকৃত হয়ে যায়। পরবর্তী ধাপে, মুকুল ও বর্ধনশীল ডগা বিকৃত হয়ে পড়ে।
সালফার, নিম তেল, ক্যাওলিন বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড পাতায় স্প্রে করলে মারাত্মক আক্রমণকে প্রতিহত করা যেতে পারে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। পাউডারি মাইল্ডিউ ছত্রাকের প্রতি সংবেদনশীল এমন ফসলের সংখ্যা গুনে এদের উপরে রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া কঠিন। জলে সিক্ত করা যায় এমন সালফার (৩ গ্রাম/লিটার), হেক্সাকোনাজোল, মাইক্লোবুটানিল সমৃদ্ধ ছত্রাকনাশকের প্রয়োগ (সমস্ত ক্ষেত্রেই ২ মিলি/লিটার) কোন কোন ফসলের ক্ষেত্রে এ ছত্রাকের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
পত্রমুকুলের মধ্যে ও উদ্ভিদের অন্যান্য আবর্জনার মধ্যে বীজগুটি শীতকাল অতিবাহিত করে। বাতাস, জল ও পতঙ্গের মাধ্যমে বীজগুটি পাশের উদ্ভিদে ছড়িয়ে যায়। যদিও এটা ছত্রাক, তবুও পাউডারি মাউল্ডিউ শুষ্ক আবহাওয়াতেও সাধারণভাবেই বেড়ে ওঠে। এ ছত্রাক ১০ - ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় টিকে থাকে, কিন্তু ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এদের জীবনধারনের পক্ষে অনুকূল। সামান্য বৃষ্টিপাত ও নিয়মিত ভোরের শিশিরের সাহায্যে পাউডারি মাইল্ডিউ ছড়িয়ে যাওয়ার হার গতি পায় যা ডাউনি মাইল্ডিউ-এর আচরণের বিপরীত।