যত্ন
বীজ বপনের আগে জমিকে ভালোভাবে কর্ষণ করা উচিৎ যাতে আগাছার উপস্থিতি ও কীটপতঙ্গের উপদ্রব হ্রাস পায়। জমি কর্ষণ করলে তা বীজের অঙ্কুরোদ্গমের হার বৃদ্ধি করে, মাটির গঠনকে উন্নত করে এবং মাটির ক্ষয় রোধ করে। জোয়ার তুষারপাতের প্রতি সংবেদনশীল, সুতরাং শেষ তুষারপাতের পরই বীজ বপন করা উচিৎ। উপরন্তু, বীজের অঙ্কুরোদ্গমের জন্য একটা নির্দিষ্ট মাত্রার আর্দ্রতা দরকার। রোপনের সময় খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা অঙ্কুরোদ্গমের হারকে হ্রাস করে।
মাটি
পরিপুষ্ট প্রধান ফসল জোয়ার প্রধানতঃ উচ্চ মাত্রায় কাদা আছে ও অগভীর এমন মাটিতে জন্মায় কিন্তু অত্যধিক বালুকাময় মাটিতেও তা বেঁচে থাকতে পারে। গাছ বিভিন্ন মাত্রার pH স্তর সহ্য করতে পারে এবং ক্ষারধর্মী মাটিতেও এই ফসলের বৃদ্ধি হতে পারে। উদ্ভিদ জমির জলাবদ্ধতা ও খরা পরিস্থিতি একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত সহ্য করতে পারে কিন্তু উত্তম জল নিষ্কাশন ক্ষমতা সম্পন্ন মাটিতে তা ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।
জলবায়ু
যে সমস্ত অঞ্চলে দিনের বেলার তাপমাত্রা প্রায় ২৭ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে সেই রকম উষ্ণ অঞ্চলে জোয়ার ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। যদি গাছের মূল যথেষ্ঠ ভালোভাবে বিকাশ পায় তাহলে ফসল নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে খরা সহ্য করতে পারে এবং অবস্থা অনুকূল হলে পুনরায় বৃদ্ধি শুরু হয়। ক্রান্তীয় ও উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চলে ২৩০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত জোয়ার চাষ করা যেতে পারে। গাছের জাতের উপর নির্ভর করে জলের প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন রকমের হতে পারে কিন্তু সাধারনভাবে ভুট্টার তুলনায় তা কম থাকে।