যত্ন
জল নিষ্কাশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মাটির ধরনের উপর নির্ভর করে চারা উত্তোলনের জন্য উঁচুতে বীজতলার প্রয়োজন হতে পারে। শরতে গভীর চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। সাধারণত বীজতলায় মরিচের চারা উত্তোলন করা হয় এবং তুষাপাতের ঝুঁকি কেটে গেলে মূল জমিতে চারা রোপণ করা হয়। ভাল নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করেও মূল জমিতে রোপন করা যেতে পারে কারণ এতে চারার বৃদ্ধি ভালো হয় এবং রোগমুক্ত চারা পাওয়া যায়। বায়ু প্রবাহজনিত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে বায়ু প্রবাহরোধী গাছ যেমন রাইকর্ণ বা সুইটকর্ণএর সারি করে লাগাতে হবে। চারা রোপণের কমপক্ষে চার সপ্তাহ আগে জমিতে গোবর সার বা কম্পোস্ট প্রয়োগ করতে হবে।
মাটি
ক্যাপসিকাম অনেক ধরনের মাটিতে চাষ করা যায় তবে গভীর, দোআঁশ এবং উত্তম জল নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত মাটি সবচেয়ে ভাল।মাটির অম্লত্ব ৫.৫ - ৭.০ এর মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। মরিচ ১ মিটার গভীরতায় পর্যন্ত এর শিকড় প্রসারিত করতে পারে। একটি সরল ঢাল থাকলে জল নিষ্কাশনের জন্য সুবিধে হয় কিন্তু তা অপরিহার্য নয়। জমির মধ্যে নিচু স্থান জলাবদ্ধতার ফলে বন্যা কবলিত হতে পারে।
জলবায়ু
মরিচের জন্য আদর্শ আবহাওয়া হলো রোদের আলো পড়ে এমন বেলে দোআঁশ মাটি, জলাবদ্ধতা কম হয় এবং ২১ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপযুক্ত। আর্দ্রতা বেশি হলে বীজ গজানোর হার হ্রাস পায় এবং চারা নেতিয়ে পড়ে। মরিচ গাছ সর্বনিন্ম ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে (কিন্তু পছন্দ করে না) এবং তাই ইহা শীত সংবেদনশীল। মরিচের ফুল ধারন ক্ষমতা দিনের দৈর্ঘ্যের সাথে খুব সম্পর্কিত। ফুলে সর্বদা স্ব-পরাগায়ন ঘটে।যা’হোক, অতি উচ্চ তাপমাত্রায় (৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পরাগরেণু কার্যকারিতা হারায় এবং ফুলের সফল পরাগায়নের কার্যকারিতা কমে যায়।