যত্ন
যথাযথ জমি প্রস্তুতিকরণ ও যত্ন চিনাবাদামের প্রভূত ফলন হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রোপনের ৩-৬ সপ্তাহ আগে প্রথম জমি কর্ষণ করা উচিৎ এবং তা মাটির ২০-৩০ সেমি. গভীরে যাওয়া উচিৎ। বীজ বপনের জন্য উচ্চ গুণমান সম্পন্ন বীজই ব্যবহার করুন। বীজ বপনের আগে রাইজোবিয়াম ইনোকুলাম প্রয়োগ করুন যাতে রাইজোবিয়ামের বৃদ্ধি ও নাইট্রোজেনের স্থায়ীকরণ হতে পারে। চিনাবাদামের প্রকারভেদের উপর নির্ভর করে (গুচ্ছাকার বা ব্যাপ্তিশীল) দুটি উদ্ভিদের মধ্যে ১০-১৫ সেমি. দূরত্ব এবং সারিগুলির মধ্যে ৬০ সেমি. দূরত্ব থাকা উচিৎ।
মাটি
হালকা, বেলে দোআঁশ নরম মাটিতে চিনাবাদাম সবচেয়ে ভাল জন্মায়। যদিও চিনাবাদাম বিভিন্ন ধরনের মাটিতে বেড়ে উঠতে পারে তবে মাটির জল ধারণ ক্ষমতা অতিরিক্ত হলে তা সহায়ক হয় না। বেশী ঘনত্বযুক্ত মাটি হলে অর্থাৎ বেশি কাদাযুক্ত মাটিতে চিনাবাদামের ডগা প্রবেশ করতে পারে না। মাটিতে বায়ু চলাচল স্বাভাবিক থাকতে হবে এবং মাঝারি পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকতে হবে। চিনাবাদাম কিছুটা অম্লীয় মৃত্তিকাতে ভালভাবে বেড়ে ওঠে, তবে ৫.৯-৭ অম্লতা বিশিষ্ট মাটিতে বৃদ্ধি পেতে পারে (৫.৫ থেকে ৭.০)
জলবায়ু
পূর্ণ সূর্যের আলো, উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া চিনাবাদাম উৎপাদনে সহায়ক। সর্বোত্তম দৈনিক তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ন্যূনতম ১০০ দিন এ আদর্শ তাপমাত্রা ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়ে চলমান থাকলে, সফল ভাবে চিনাবাদাম উৎপাদন করা যায়। তাপমাত্রা চিনাবাদাম উৎপাদনের জরুরি ফ্যাক্টর, তবে চিনাবাদাম শীতল এবং আর্দ্র আবহাওয়া সহ্য করতে পারে, কিন্তু এ ধরনের আবহাওয়া ফসলের রোগ বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। ( দীর্ঘ দিন অঙ্গজ বৃদ্ধি চালু থাকলে গাছের রোগ বালাই বেশি হয়, রোগাক্রান্ত ফল, ফল পরিপক্ব হতে সময় লাগে এবং মোটের উপর ফলন কম হয় )।