যত্ন
চিনাবাদাম গাছ ফ্যাবাসি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি শিম জাতীয় উদ্ভিদ, যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে জন্মায়। চিনাবাদাম একটি শিম জাতীয় ফসল এবং প্রচুর পুষ্টির জন্য এ শস্য আবাদ করা হয়, এতে উচ্চ মাত্রায় তেল এবং চর্বি সমৃদ্ধ থাকার কারনে চিনাবাদামকে "তেল জাতীয় ফসল" হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। চিনাবাদামের উৎপত্তি দক্ষিণ আমেরিকাতে হয়েছিল তবে এখন বিশ্বজুড়েই এর চাষ হয়। প্রায় ৪২ মিলিয়ন একর জমিতে ২০টিরও বেশি দেশে চিনাবাদাম জন্মায়, চীন সবচেয়ে বেশি উৎপাদনকরে যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় ৩৭% ।
মাটি
হালকা, বেলে দোআঁশ নরম মাটিতে চিনাবাদাম সবচেয়ে ভাল জন্মায়। যদিও চিনাবাদাম বিভিন্ন ধরনের মাটিতে বেড়ে উঠতে পারে তবে মাটির জল ধারণ ক্ষমতা অতিরিক্ত হলে তা সহায়ক হয় না। বেশী ঘনত্বযুক্ত মাটি হলে অর্থাৎ বেশি কাদাযুক্ত মাটিতে চিনাবাদামের ডগা প্রবেশ করতে পারে না। মাটিতে বায়ু চলাচল স্বাভাবিক থাকতে হবে এবং মাঝারি পরিমাণে জৈব পদার্থ থাকতে হবে। চিনাবাদাম কিছুটা অম্লীয় মৃত্তিকাতে ভালভাবে বেড়ে ওঠে, তবে ৫.৯-৭ অম্লতা বিশিষ্ট মাটিতে বৃদ্ধি পেতে পারে (৫.৫ থেকে ৭.০)
জলবায়ু
পূর্ণ সূর্যের আলো, উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া চিনাবাদাম উৎপাদনে সহায়ক। সর্বোত্তম দৈনিক তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ন্যূনতম ১০০ দিন এ আদর্শ তাপমাত্রা ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়ে চলমান থাকলে, সফল ভাবে চিনাবাদাম উৎপাদন করা যায়। তাপমাত্রা চিনাবাদাম উৎপাদনের জরুরি ফ্যাক্টর, তবে চিনাবাদাম শীতল এবং আর্দ্র আবহাওয়া সহ্য করতে পারে, কিন্তু এ ধরনের আবহাওয়া ফসলের রোগ বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। ( দীর্ঘ দিন অঙ্গজ বৃদ্ধি চালু থাকলে গাছের রোগ বালাই বেশি হয়, রোগাক্রান্ত ফল, ফল পরিপক্ব হতে সময় লাগে এবং মোটের উপর ফলন কম হয় )।