যত্ন
যদি সম্ভব হয়, আপনার কাঙ্খিত নির্বাচিত প্রধান গাছ থেকে আমের চাষ করুন। যখন নার্সারী থেকে অন্যত্র চারাগাছ রোপন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে মূলতন্ত্র যেন যতদূর সম্ভব অক্ষত থাকে। হালকা কিন্তু ঘন ঘন জলসেচের সুপারিশ রয়েছে। দেখা গিয়েছে রাসায়নিক সারের তুলনায় বেশী মাত্রায় জৈব সার আম গাছের বৃদ্ধির জন্য বেশী উপকারী। গাছের বৃদ্ধি কোনদিকে হবে, আকার কেমন হবে, কতটা বড় হবে এসব নিয়ন্ত্রণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ তা আম ফলকে একটা কাঙ্খিত আকার দেয়। গাছকে নিয়মিত ছেঁটে দেওয়ার কাজটা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বৃদ্ধির প্রথম ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে। গাছের স্বাভাবিক গম্বুজাকৃতি আকারের জন্য বার্ষিক ছাঁটাই কিন্তু প্রয়োজনীয় নয়। ফসল সংগ্রহ করার সময় ফলে আঘাত এড়ানোর জন্য সাবধানে তা সংগ্রহ করা উচিৎ।
মাটি
আম গাছ বিভিন্ন ধরনের মাটিতে জন্মাতে পারে, এর মধ্যে লাল দোঁআশ মাটি সর্বোত্তম। মাটির জলধারণ ক্ষমতা ভালো থাকা উচিৎ, কিন্তু জল নিষ্কাশন ক্ষমতা দুর্বল হলে তা গাছের বৃদ্ধিকে সীমিত করে। গভীর (১.২ মিটারের থেকে বেশী), জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ পাললিক মৃত্তিকা সর্বোত্তম বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। এই কারণগুলির জন্য, সমভূমিতে আমের চাষ পাহাড়ী এলাকায় চাষের তুলনায় বেশী পছন্দ করা হয়।
জলবায়ু
আম গাছ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও অবর-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে খুব ভালো ফল দেয় কিন্তু মারাত্মক তাপমাত্রা ও তুষারপাতের প্রতি উচ্চমাত্রায় তা সংবেদনশীল। ফসলের বিভিন্ন পর্যায় জুড়ে বৃষ্টিপাতের বিভিন্নতা সফল ফসল সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসাবে, শুষ্ক আবহাওয়া ফুল ফোটার পর্যায়কালে পরাগমিলনের জন্য ভালো। অন্যদিকে, বর্ষার আবহাওয়া ফলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ঝোড়ো বাতাস আম গাছের পক্ষে ক্ষতিকারক।