যত্ন
আম ফলের খুব বেশী মাত্রায় অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে এবং এর ভালো স্বাদ এবং বিবিধ জাতের জন্য উপভোক্তাদের মধ্যে জনপ্রিয়। এই ফল ভিটামিন 'এ' ও 'সি' পুষ্টিগুণে ভরপুর। আম গাছের কাঠ বাড়ি ঘরের জানলা তৈরীর কাজে ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। আমের পাতা গবাদি পশুকে খাওয়ানো যেতে পারে।
মাটি
আম গাছ বিভিন্ন ধরনের মাটিতে জন্মাতে পারে, এর মধ্যে লাল দোঁআশ মাটি সর্বোত্তম। মাটির জলধারণ ক্ষমতা ভালো থাকা উচিৎ, কিন্তু জল নিষ্কাশন ক্ষমতা দুর্বল হলে তা গাছের বৃদ্ধিকে সীমিত করে। গভীর (১.২ মিটারের থেকে বেশী), জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ পাললিক মৃত্তিকা সর্বোত্তম বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক। এই কারণগুলির জন্য, সমভূমিতে আমের চাষ পাহাড়ী এলাকায় চাষের তুলনায় বেশী পছন্দ করা হয়।
জলবায়ু
আম গাছ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও অবর-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে খুব ভালো ফল দেয় কিন্তু মারাত্মক তাপমাত্রা ও তুষারপাতের প্রতি উচ্চমাত্রায় তা সংবেদনশীল। ফসলের বিভিন্ন পর্যায় জুড়ে বৃষ্টিপাতের বিভিন্নতা সফল ফসল সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসাবে, শুষ্ক আবহাওয়া ফুল ফোটার পর্যায়কালে পরাগমিলনের জন্য ভালো। অন্যদিকে, বর্ষার আবহাওয়া ফলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ঝোড়ো বাতাস আম গাছের পক্ষে ক্ষতিকারক।